পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় RV) তিনি মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করেন ; তৎপূর্বে কোন বি-এ পাশ করা ছাত্র মেডিক্যাল কলেজে ভর্ত্তি হইয়াছিলেন কি-না জানি না । কিন্তু ইনি যে কলিকাতা মেডিক্যাল-কলেজের প্রথম বি-এ পাশ-করা ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম, তাহাতে সন্দেহ নাই । তিনি মেডিক্যাল কলেজের কয়েকটি বাৎসরিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ধাত্রী-বিদ্যায় তাহার অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তিনি ১৮৬৬ খৃঃ অব্দে এমূ-বি একটি পদক পুরস্কার পাইয়াছিলেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে তিনি এমবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সেই বৎসরই মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম অধ্যাপক পাটিজ সাহেব তঁহার মনস্বিতী, চিকিৎসা-বিদ্যায় পারদৰ্শিতা প্রভৃতি গুণে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে বিলাতে পাঠাইতে উদ্যত হইয়াছিলেন, কিন্তু শেষকালে এই প্রস্তাব কার্য্যে পরিণত হয় নাই। এই ১৮৬৬ दिदाश् খৃষ্টাব্দেই তিনি কঁসারীপাড়া নিবাসী হরলাল চট্টোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা জগত্তারিণী দেবীর পাণি-গ্রহণ করেন ; তখন গঙ্গাপ্রসাদের বয়স কিঞ্চিন্নান ২৮ বৎসর। গঙ্গাপ্রসাদের তিনটি সন্তান হইয়াছিল-আশুতোষ ও হেমন্তকুমার, এই দুইটি পুত্র এবং হেমলতা নামী কন্যা। সে সময়ে কলিকাতা অঞ্চলে ভবানীপুর একটি শ্রেষ্ঠ ভদ্র-নিবাস ছিল। এই স্থানটি সুগ্রীমকোর্ট এবং সদর দেওয়ানীর সন্নিহিত ছিল ; এজন্য উকিল-মোক্তারগণ দলে দলে এই স্থানে আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন । সেই সময়ের বর্তমান হাইকোর্টের ভিত্তি পুরাতন ভবানীপুর রোডের’ **ী’ উপর। সেই সময় এই স্থান বড় বড় জজ ও শিক্ষিত, সম্রান্ত ব্যক্তি অধুষিতু হইয়া গৌরবজনক হইয়াছিল। জাষ্টিস শম্ভুনাথ, দ্বারকানাথমিত্র, কবিবর হেমচন্দ্র এবং ভারতীর বরপুত্র মধুসুদন দত্ত এককালে এই ভবানীপুরে বাস করিয়া ইহাকে ঐতিহাসিক গুরুত্ব দিয়া গিয়াছেন। গঙ্গাপ্রসাদের সর্ব্ব কনিষ্ঠ ভ্রাতা রাধিকাপ্রসাদ ভবানীপুরের প্রথিতযশা, ধনাঢ্য অধিবাসী চন্দ্রমোহন গাঙ্গুলীর কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন। চন্দ্রমোহনবাবুর ভবানীপুরে একটি ডিসপেন্সারী ছিল, তিনি গঙ্গাপ্রসাদকে ভবানীপুরে থাকিয়া চিকিৎব্যবসায় করিতে পরামর্শ দেন এবং গঙ্গাপ্রসাদের আকৃত্রিম