পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\, W . , জীবন-প্রভাতে । হইয়া গেল। রোগ যেন ক্ষুধিত ব্যান্ত্রের মত কয়েক বৎসর আড়ালে থাকিয়া তাহার জন্য ওৎ পাতিয়া অপেক্ষা করিতেছিল। ভিতরে ভিতরে হয়ত স্বাস্থ্য ভাল ছিল না ; কিন্তু তাঁহার বলিষ্ঠ গঠনে মৃত্যুর কোন পূর্ব লক্ষণই দেখা যায় নাই। সম্পূর্ণ অতর্কিত ভাবেই তাহার মৃত্যু হইয়াছিল। দুই দিন পূর্বেও কেহ ভাবিতে পারেন নাই যে, তিনি চিরকালের জন্য চলিয়া যাইবেন । বহু কর্ম্মের ভিড়ের মধ্য হইতে ভগবান তাহাকে অকস্মাৎ আহবান করিয়া লইয়া গেলেন, এবং ৬০ বৎসর বয়সে তাহার মৃত্যু হইলেও, উহা সকলের নিকট একান্তই ‘অকাল মৃত্যু’ বলিয়া বোধ হইয়াছিল। ঈশ্বর তঁহার এত বড় কর্ম্মীকে আরব্ধ কর্ম্মের মাঝখান হইতে কেন লইয়া গেলেন, সেই সমস্যার সমাধান করা মানুষের সাধ্যায়ত্ত নহে। ਫਲ আশুতোষের কলেজ-জীবনের ইতিহাস অত্যু জল। ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে প্রেসিডেন্সী কলেজ হইতে তিনি বি-এ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন ; তখন তঁহার অন্যতম। ইংরাজীর অধ্যাপক ছিলেন বিখ্যাত টনি সাহেব। পর বৎসর (১৮৮৫ খৃঃ অঃ) তিনি এম-এ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্থান লাভ করেন ; তাহার বিষয় ছিল গণিত এবং তঁহার অধ্যাপক ছিলেন অধ্যয়নে চির-নিরত, তপস্বীর ন্যায় চরিত্রবান ও ভট্টাচার্য্যের মত সাংসারিকতা-বিবর্জিত বুথ সাহেব। আমরা যখন ঢাকা কলেজে পড়িতাম, তখন ইনি ঢাকা-কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এই সময় এফএ পরীক্ষার গৃহে অকস্মাৎ ঢুকিয়া তিনি দেখিলেন, একটি পরীক্ষার্থী অঙ্ক কষিতে যাইয়া ভুল করিতেছে ; স্থান, কাল ভুলিয়া গিয়া বুথ সাহেব সেই ছাত্রটির খাতায় অঙ্কটি বিশুদ্ধ ভাবে কাষিয়া দিয়া শিষ দিতে দিতে পরীক্ষা-গৃহ হইতে চলিয়া গেলেন। আশুতোষ এই ভোলানাথ কল্প অধ্যাপকের অতি প্রিয় ছাত্র ছিলেন । ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে আশুতোষ “এ কোর্সে’ পাঁচ দিন বি-এ পরীক্ষা দিয়া প্রথম স্থান অধিকার করেন, তজ্জন্য তিনি ১৫০ শত টাকার বৃত্তি পাইয়াছিলেন। গণিতে সর্বোচ্চ jo প্রাপ্ত হইয়া তিনি ‘হরিশ্চন্দ্র পারিতোষিক’ লাভ করিলেন। পরীক্ষার্থীদের বুথ সাহেব