পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-প্রভাতে المعه V芯 বারই প্রথম হইয়া স্বর্ণপদক লাভ করেন। সুপ্রসিদ্ধ জজ আমির আলি ও ব্যবহারশাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী পণ্ডিত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য তাহার পরীক্ষক ছিলেন। ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে সিটি কলেজ হইতে “ল’ পাশ করিয়া ঐ সনের ৩১শে আগষ্ট আশুতোষ ওকালতির সনদ প্রাপ্ত হ’ন। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘অনার্স-ইন-ল’ (Honours-in-Law) এবং পর বৎসর ‘ডক্টর-ইন-ল’ (Doctor-in-Law) উপাধি প্রাপ্ত হ’ন। সিটি কলেজে র্তাহার অধ্যাপক ছিলেন সুপ্রসিদ্ধ লর্ড সিংহ (তখন মিঃ এস, পি, সিংহ) । ‘Law of Perpetuity” সম্বন্ধে তিনি অধ্যাপক স্বরূপে যে বক্ততা দিয়াছিলেন, তাহা তাহার অসামান্য পাণ্ডিত্যের পরিচায়ক । সুতরাং দেখা যাইতেছে, আশুতোষ সমস্ত পরীক্ষায়ই অতীব প্রংশসনীয় সফলতা লাভ করিয়া যখন কলেজ-জীবন সাঙ্গ করেন, তখন তিনি বঙ্গদেশের মুখোজািলকারী কি হয় তা যুবক বলিয়া ভারতীয় ছাত্র-মণ্ডলীর মধ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াदफु ? ছিলেন । কিন্তু এই গুণেই কি আশুতোষ বড় হইয়াছিলেন ? প্রত্যেক বৎসরই তো কোন না কোন ছাত্র পরীক্ষায় প্রথম হ’ন, এখনও ছাত্রগণ একাধিক বিষয় ও একাধিক পরীক্ষায় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়া পুরস্ক ও হইতেছেন ; এ সকল অবশ্যই ছাত্র-জীবনের পক্ষে একান্ত প্রশংসনীয় কৃতিত্ব। কিন্তু আশুতোষ কি শুধু পরীক্ষায় প্রথম হওয়াটাকেই বড় বা প্রধান কার্য বলিয়া মনে করিতেন ? তাহা হইলে অন্যান্য “ভাল ছেলে’র সঙ্গে তঁহার পার্থক্য কোথায় ? আশুবাবুকে বিশ্ববিদ্যালয় যে সকল বৃত্তি, পদক ও উপাধি দিয়াছিল, সেই সকল সোনার তকমা তাঁহাকে বড় করে নাই। সিনেট গৃহে দেখিয়াছি গুরুদাসবাবুর ন্যায় অদ্বিতীয় ব্যবহারজীবী ও বিচারপতি, পাণ্ডিত্যের অর্ণবযান ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, সাহিত্য ও দর্শন-শাস্ত্রের রাজৰ্ষিতুল্য ষ্টিফেন সাহেব-এই সকল মহা মহা পণ্ডিত তাহার কাছে চন্দ্রের পার্শ্বে তারা-মণ্ডলের মত প্রভাহীন হইয়া গিয়াছেন । শিক্ষা-বিভাগের কর্ত্ত সাহেবরা, সর্ব্বক্ষম গবর্ণমেণ্টের সেক্রেটারীগণ এবং মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতিগণ র্তাহার কাছে নিম্প্রভ । সিনেটের বাহিরেও দেখিতে পাই লর্ড কার্জনের মত প্রতিভাপুর্ণ বড়লাট তরুণ বয়স্ক আশুতোষের গুণের সন্ধান পাইয় তাহাকে শ্রদ্ধা করিতেছেন।