পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR আশুতোষ-স্মৃতিকথা বিরোধ মিটিয়া যায়, এই দুঃখের সময়ে সেইরূপ চেষ্টাই করিতেন। তিনি রাষ্ট্র নেতাদের মত বাহিরে বিদ্রোহ-ঘোষণা কিংবা শাসন-কার্য্য-সম্বন্ধে সমালোচনা করিতেন না । বিশ্ববিদ্যালয়ই তাহার কর্ম্মক্ষেত্র ছিল। যখন টাকার পথ চারিদিকে রুদ্ধ হইল, তখনও আশুবাবু হািটয়া গেলেন না, জানু পাতিয়া বসিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন না। এই কর্ম্মী পুরুষ হাল ছাড়িয়া দিবার লোক ছিলেন না, বিপদে ধৈর্য্য এবং উদ্ভাবনী শক্তির অভাব র্তাহার কোন দিনই হয় নাই। তিনি প্রস্তাব করিলেন, যদি মাটিকুলেশন প্রভৃতি পরীক্ষার ‘ফি’ কিছু বাড়ান যায়, তবে আসন্ন বিপদ কাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কতকটা স্বাধীনভাবে দাড়াইতে পারে। ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষার্থী তখন প্রায় বিশ হাজার, -পাঁচ টাকা করিয়া ‘ফি’ বাড়াইলে বৎসরে এক লক্ষ টাকা হয়। অপরাপর পরীক্ষার ‘ফি”-ও কিছু করিয়া বাড়াইলে আরও প্রায় এক লক্ষ টাকা হইতে পারে ; এই দুই লক্ষ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হইলে গোলদীঘির পশ্চিম পাড়টার সমস্ত সমস্যা মিটিয়া যায়,- এই প্রতিষ্ঠান নিজের পায়ের উপর দাড়াইতে পারে। ছাত্রদের কষ্টে বিগলিত হইয়া প্রতিপক্ষীয়-দল আশুবাবুর নির্ম্মমতার কথা লইয়া ঢাক পিটিতে আরম্ভ করিলেন। কি নিষ্ঠুর এই আশুবাবু! ছেলেরা এই ঘোর দুর্দিনে খাইতে পায় না,-ভিটে-মাটি বন্ধক দিয়া অভিভাবকেরা কষ্টেসৃষ্টে এই দুর্দিনের বাজারে তাহদের পড়ার খরচ চালাইতেছেন, তাহার উপর আবার পরীক্ষার ‘ফি’-বৃদ্ধি ! চারিদিকে এমন একটা হৈ হৈ রব হইতে লাগিল, যে, তাহাতে কানে তালি লাগিব।ার কথা । আশুবাবু তাহার উদ্দেশ্য অতি সরল এবং স্পষ্ট ভাষায় বুঝাইয়া দিলেন,- “একটি ছাত্র বৎসরে ৩০০২ টাকার নীচে পড়ার সর্ববিধ খরচ নির্বাই করিতে পারে না। পরীক্ষার ‘ফি” বৎসরে একবার মাত্র দিতে হইবে, তাইতে বাৎসরিক তাহার নুন পক্ষে ৩০০২ টাকা বায়ের উপর যদি পাঁচটি টাকা বেশী দিতে হয়, তবে তাহা দাড়াইবে ৩০৫২ টাকায়। ইহা কি তাহার দৈন্তের্ব কষ্ট খুব বাড়াইবে ? “অথচ স্কুলের কর্তৃপক্ষেরা প্রায়ই ছাত্র-বেতন বাড়াইয়া থাকেন। সেই বদ্ধিত হারে বেতন তাহাদের প্রতি মাসে দিতে হয়। শুধু তাহাই নহে, তাই