পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sess rt. আশুতোষ-স্মৃতিকথা Y চন্দ্রভূষণ মৈত্রেয় মহাশয়ের জীবনের আশা ডাক্তারগণ ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। নীলরতনবাবু বলিয়াছিলেন,-“ইহার পূর্বেই মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল, শরীরের সমস্ত অংশে মৃত্যুর লক্ষণ অতি স্পষ্ট, ইনি যে কি করিয়া এতক্ষণ বঁাচিয়া আছেন, তাহাই বিস্ময়ের বিষয়।” আশুবাবু তঁাহাকে ঘন ঘন দেখিতে যাইতেন। আমরা শুনিলাম, তঁহার পীড়া শিবের অসাধা, এখনই মৃত্যু হইবে, ডাক্তারগণ সকলে এক বাক্যে বলিতেছেন। আশুবাবু ফিরিয়া আসিলে আমি লোকটির এইভাবে মৃত্যু হইবে, এইজন্য দুই একটা পরিতাপের কথা বলিয়াছিলাম। ইহাতে তিনি খুব বিরক্ত হইলেন,-বলিলেন—“লোকে মরে, বঁাচে কি ডাক্তারের ইচ্ছায়-না ভগবানের ইচ্ছায় ? আপনারা এখনি মরার কান্না আরম্ভ করিয়াছেন কেন ? আমি বলিতেছি এখনও অবস্থা ভাল turn নিতে পারে এবং চন্দ্র মৈত্র বঁাচিতে পারেন।” শেষ পর্যন্ত তিনি আশা রাখিতেন ; জীবন-তরীর সুদক্ষ কাণ্ডারী কখনও হাল ছাড়িয়া দেওয়ার কল্পনাটাও সহ্যু করিতে পারিতেন भ्रठ :” না। তিনি বস্তুতঃই শ্মশান পর্য্যন্ত বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়াছেন। র্তাহার পরিচিত এবং আশ্রিতদের মধ্যে যে মুমূর্ষ।--যে মৃত, জীবনে-মরণে তাহার মহাবিন্ধু ছিলেন আশুতোষ। প্রথমতঃ তাহার চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করিয়া, তাহার অন্তোষ্টি-ক্রিয়া ও পরিবার-প্রতিপালনের সর্ববিধ উপায় করিয়া তিনি নিরস্ত হইতেন। ১৯২০ খৃষ্টাব্দে আমার পেটের নীচে একটা টিউমার পাকিয়া গিয়াছিল, সঙ্গে খুব জরও ছিল। নানা কারণে চান্দসীর ডাক্তারদের চিকিৎসার উপর আমার খুব আস্থা আছে । আমি তাহাদেরই একজন প্যারীচরণ দাসকে দিয়া চিকিৎসা করাইতেছিলাম । আশুবাবু শুনিয়া বলিয়া পাঠাইলেন,-“হাতুড়ে আনাড়ীর হাতে মরিবে, আর আমরা দাড়াইয়া দেখিব ?--তাহা হইবে না। আমি ডাক্তার পাঠাইতেছি,-দরকার হইলে সাহেব ডাক্তার লইয়া নিজে যাইতেছি।” কিছু পরেই ডাঃ উপেন্দ্র ব্রহ্মচারী আসিয়া উপস্থিত। তিনি বলিলেন,-“আশুবাবু চিন্তিত হইয়া আপনাকে দেখিবার জন্য আমাকে ঘন ঘন ডাকিয়া পাঠাইয়াছেন, ব্যাপার কি বলুন তো ।” আমার ক্ষত-স্থানটা তখন অনেকটা শুকাইয়া আসিয়াছে। তিনি দেখিয়া বলিলেন,-“আপনি তো প্রায় সারিয়া উঠিয়াছেন । কে চিকিৎসা করিতেছেন ?” আমি বলিলাম-“র্চাদসীর ডাক্তার প্যারীমোহন