পাতা:আসাম ও বঙ্গদেশের বিবাহ পদ্ধতি - বিজয়ভূষণ ঘোষ চৌধুরী.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৩৭
নাম
১৩৭

________________

বিভিন্ন বর্ণে বিবাহ মৈমনসিংহের কিশােরগঞ্জ মহকুমায় কায়স্থ ও বৈদ্য মধ্যে আজিও [অর্থাৎ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ] বিবাহের আদান-প্রদান আছে। ঐ সকল স্থান পূর্ববঙ্গের অন্তর্গত হইলেও তত্রত্য কোনও কায়স্থপ্রধান স্থানে কায়স্থ ও বৈদ্যমধ্যে বিবাহের আদান-প্রদানের কথা শুনা যায় না। যােড়হাট নর্মাল স্কুলের অন্যতম শিক্ষক বন্ধুবর শ্রীযুত হরিনারায়ণ দত্ত-বরুয়া বিগত ১৩৩৬ বঙ্গাঙ্গে কায়স্থ-সমাজ নামক পত্রিকার চৈত্র সংখ্যায় লিখিয়াছেন যে, তিনি বেঙ্গেনীআটী সত্রাধিকারীকে উপর-আসামের কায়স্থ বলিয়া জানেন। দত-বরুয়া মহাশয় কামরূপের “আর্য কায়স্থ সমাজ”ভুক্ত এবং বহুদিন হইতে আসামের নানাবিধ ঐতিহাসিক তথ্য-সংগ্রহে ব্যাপৃত আছেন। উক্ত অনিরুদ্ধ দেব এবং বেঙ্গেনাআটীর সংস্থাপক একই বংশসস্তুত। যাহা হউক, এই প্রসঙ্গে উল্লেখযােগ্য—প্রাচীন কামরূপ জনপদে উপনিবিষ্ট কায়স্থের বহু বংশধর তত্রত্য বিশাল কলিতা সমাজে এখনও মিশিয়া যান নাই এবং তাহারা স্বতন্ত্রভাবে বাস করিতেছেন। চলিহা, দুয়াের আদি উপাধিধারী আধুনিক কলিতারা পূর্বে কায়স্থ ছিলেন। অনিরুদ্ধ দেব প্রতিষ্ঠিত মায়ামরা সত্রের সপ্তম ধর্মাচার্য অষ্টভুজ মহন্ত, আহােমরাজ লক্ষ্মীনাথ সিংহের সমসাময়িক ছিলেন। ইহার | পরবর্তী ধর্মাচার্য্য পীতাম্বর চন্দ্রের পুত্র মটকের মহন্ত | ভজনানন্দ দেব যােড়হাটের অন্তর্গত মালোপথর হইতে আসিয়া ডিব্রুগড় মহকুমার বগডুং মৌজার নােম নামক স্থানে এবং দিনজয় নদীর তীরদেশে দিনজয় নামে সত্র স্থাপন করেন। এই সত্রের বর্তমান ধর্মাচার্য্যের নাম শ্রীশ্রীযুত হৃদয়ানন্দচন্দ্র দেব । ইহারই পূর্বপুরুষগণ (পীতাম্বরচন্দ্র, সপ্তভুল বা গাগিনী বড় ডেকা এবং ভরত সিংহ] রাজ্যলােলুপ হইয়া কামরূপ জনপদের মহন্তগণের সাহায্য প্রার্থনা করিয়া বিফলমনােরথ হইলে কাহারও প্রাণবধ, কাহারও ধর্ম্মনষ্ট এবং কাহারও সত্রে অগ্নিসংযােগ আদি পাশবিক