পাতা:আহুতি - অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্য। রুদ্রচণ্ডের প্রাসাদ । (নাগকেশর ও শার্দ্দলক ) শাৰ্দ।—এ অপমান আর সহ হয়না। চন্দ্রপীঠ বড়ই বাড়িয়েছে, তাকে আর বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। নাগা।--তুমি দাড়াওনা, আমি তার সর্বনাশের সমস্ত আয়োজন করেছি। কিসের এত তেজ, কিসের এত অহঙ্কার ? সেনাপতি । কেন ? আমরা কি তারোয়াল ধরতে জানিনি ? শাৰ্দ। —মহারাজ একটু বেণী অনুগ্রহ করেন, সেইজন্যই ধারাকে সরা দেখোন! স, নাগ।—তুমি কিছু ভেবনা শার্দ্দল ক! চন্দ্রপীঠ যে মেয়েটাকে ভালবাসে তা বুঝতে পেরেছি, নইলে তার জন্য এত করবে। কেন ? কিন্তু মহারাজের কাছে শুধু এ কথা বল্পে তার কোন বিশেষ অনিষ্ট করতে পারবন । সে বলবে মেয়েটাকে আটকে রেখেছি, মহারাজের শত্রু বৈষ্ণবদের সমস্ত অভিসন্ধি জানিবার জন্য । যদি রাজাকে ব’লে মেয়েটার কিছু গুরুতর অনিষ্ট করতে পারি, তাহ’লে চন্দ্রপীঠ,-আমার স্থির বিশ্বাস,-মহারাজারও প্রতিকূলতাচরণ করতে পশ্চাৎপদ হবেনা। আমি তার স্বভাব জানি, সে যা ধরে তা শেষ না করে ছাড়েন । সিংহকে জালে ফেলবার এই একমাত্র উপায় । 通 শাৰ্দ্ধ-ঠিক বলেছ।