. . . . \SOʻd Ñq ইংরেজের জয়। লিখিত ছিল । আমি আরও কুড়িটি লোকের নাম সংগ্রহ করিয়াছি। ইহারা অন্ধকূপে জীবন বিসর্জন করিয়াছিল। । এতদ্ব্যতীত অন্ধকূপ হইতে বাচিয়া বাহির হইয়াছিল, পরে অন্ধকূপের নির্য্যাতন-ফলে মারা গিয়াছিল, এমন কুড়িটী লোকের নাম আমি সংগ্রহ করিয়াছি। ফলে সর্ব্বশুদ্ধ আশীটী লোকের নাম এই মৎ প্রতিষ্ঠিত স্মৃতি-স্তন্তে লিখিত হইল।” কথিত আছে, অন্ধকূপে ১৪৬টি লোক বন্দী ছিল । ২৩টীি কেবল বঁাচিয়া ছিল । ২৩টা যদি বাচে, তাহা হইলে ১২৩টিী মরিল। নাম রহিল স্মৃতি-স্তম্ভে ৮০ টা মাত্র লোকের । বড়লাট বাহাদুর সকল নামগুলির আবিষ্কার করিতে পারিলেন না ? করিলে কিন্তু অনেকে সিঃসন্দেহ হইত। হলওয়েল
- সাহেবের আবির্ভাব-কালের বহু পরে লর্ড কার্জনের আবির্ভাব
হইয়াছে। হলওয়েল সাহেব ঘটনাকালে উপস্থিত ছিলেন । তিনি সকলকে নিশ্চতই জানিতেন । তিনি পঞ্চাশটির অধিক সাম সংগ্রহ করিতে পারেন নাই কেন, সে দিন বড় লাট বাহাদুরের তাহার একটা মীমাংসা করিয়া দেওয়া উচিত ছিল । যে খাতা-পত্র দেখিয়া বড়লাট • বাহাদুর চল্লিশটী লোকের নাম বেশী সংগ্রহ করিয়াছেন, হলওয়েলের সময় ত’ তাহা টাটকা ছিল । সে খাতাপত্রে কি এ সব নাম ছিল না ? সে দিন বড় লাট বাহাদুর অনেক কথাই বলিয়াছিলেন, এ কয়টা কথার--- ** প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া দিলে, অনেকেই নিঃসংশয় হইতে পারিত । সেদিন এই স্মৃতি-স্তম্ভ প্রতিষ্ঠাকালে বড়লাট বাহাদুর উপসংহারে যাহা বলিয়াছিলেন, তাজুতে মন দুগ্ধ হইয়া যায়।
