পাতা:ইংরেজ ডাকাত - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
দারোগার দপ্তর, ৩৩ম সংখ্যা।

 আমার সাহেবদ্বয় তাঁহাদিগের জুতা ও কোট খুলিয়া সেই গৃহের বিছানার উপর শয়নপূর্ব্বক হরনাথ বাবুর কথাগুলি শুনিতেছিলেন। যখন তাহার কথা শেষ হইল, অমনিই হাবিৎ সাহেব উঠিয়া তাঁহার কোট পরিলেন, এবং জুতা পায়ে দিয়াই কহিলেন, “চল, চণ্ডীপুরে গমন করি—আর বিলম্ব করা উচিত নহে।”

 হাবিতের কথা শুনিয়া আমি কহিলাম, “সাহেব! এই রাত্রি দশটার সময় অজানিত পথে এরূপভাবে তুমি যাইতে চাহ, অক্লেশেই যাইতে পার; আমি কিন্তু এভাবে যাইব না। আমি প্রথমে যাওয়ার বন্দোবস্ত করিব, তারপর যদি যাওয়া বিবেচনা-সিদ্ধ হয়,যাইব। নতুবা এই রাত্রি এইস্থানে অতিবাহিত করিয়া পরদিবস প্রাতঃকালে উহাদিগের অনুসন্ধানে বহির্গত হইব।” এই বলিয়া আমি সেই স্থান হইতে উঠিয়া অন্য গৃহে গমন করিলাম; ভাবিলাম,—“দেখি, উহারা কি করে?”

 রাজারামপুর বর্ধমান-জেলার অন্তর্গত জামালপুর থানার অধীন। জামালপুর এইস্থান হইতে অধিক দূর নহে, দামোদর নদীর অপর পারে। আমি রাজারামপুরের একজন চৌকীদারকে ডাকাইয়া তাহার হস্তে একখানি পত্র দিয়া কহিয়া দিলাম, “যত শীঘ্র পার, এই পত্রখানি জামালপুর থানায় লইয়া যাও। সেইস্থান হইতে যদি কেহ আগমন করেন, তাঁহাদিগকে সঙ্গে করিয়া এইস্থানে আনয়ন করিবে।” চৌকীদারকে আমি যে পত্র প্রদান করিলাম, তাহার মর্ম্ম এই—

 “জামালপুর থানার ইন‍্চার্য্য অফিসার মহাশয়! আমরা কলিকাতা পুলিসের কর্ম্মচারী, বিশেষ প্রয়োজনীয় সরকারী