জিজ্ঞাসা করিলাম,—“কয়েদীদ্বয় যে স্থান হইতে, এবং যে প্রকারে পলায়ন করিয়াছে, সেইস্থান আপনি দেখিয়াছেন কি?” উত্তরে সাহেব কহিলেন,—“না, কিন্তু আমি এখনই সেইস্থানে গমন করিতেছি।” সাহেবের এই কথা শুনিয়া, আমিও তাঁহার সহিত গমন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলাম; তিনিও সম্মত হইলেন।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b1/Rule_Segment_-_Span_-_20px.svg/20px-Rule_Segment_-_Span_-_20px.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/00/Rule_Segment_-_Fancy1_-_40px.svg/40px-Rule_Segment_-_Fancy1_-_40px.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b1/Rule_Segment_-_Span_-_20px.svg/20px-Rule_Segment_-_Span_-_20px.svg.png)
কয়েদীদ্বয় কিরূপে এবং কোথায় ধৃত হইলেন, সেই বিষয় পূর্ব্বে বলা অপেক্ষা তাঁহারা কে, এবং কেনই বা তাঁহাদের জেল হইয়াছিল, তাহা বোধ হয়, পূর্ব্বে পাঠকগণের জানা আবশ্যক।
কলিকাতা লালদীঘির ধারে ‘ডেলহৌসি স্কোয়ার ঈষ্ট’ রাস্তায়, ‘সিঙ্গার কোম্পানির’ সেলাইয়ের কলের একটী দোকান আছে, ওয়ার্ণার এই দোকানের বড় সাহেব ছিলেন। তিনি অবিবাহিত—তাঁহার চরিত্র-দোষ যথেষ্ট ছিল। সন্ধ্যার সময় একবার কলিঙ্গা-বাজার স্ট্রীটে তাঁহাকে গমন করিতেই হইত, ও সেইস্থান হইতে তিনি কোনদিবস রাত্রি ১২টার পূর্ব্বে প্রত্যাগমন করিতেন না। শনিবার, রবিবার বাগানেই কাটিয়া যাইত।
একদিন সোমবার বেলা এগারটার সময়, ওয়ার্ণার সাহেব থানায় গিয়া উপস্থিত হইলেন। থানার প্রায় সকলেই তাঁহাকে