পাতা:ইংলণ্ডাধিপতি মহামহিম আল্‌ফ্রেডের জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ আলফুেডের জীবন বৃক্ষান্ত । ছিল। ধর্ম্মজ্ঞান কাহারও ছিল না, এবণ পুরোহিতদিগের প্রভুত্ব সাধারণের উপর সমপূর্ণ রূপে চলিত। রাজাও ঐ সকল অবৈধ কর্ম্মে শিক্ষা পান, এব^ তাহার সথা ও শিক্ষকের অধিকাংশই পুরোহিত ছিল। তিনি স্যাকসনদিগের - রীতি নীতি ও ব্যবহার সকল বি লক্ষণ অবগত ছিলেন, এব^ প্রায় তদৃষ্টে কার্য্য করতেন। আলফুেড় এক জন জ্ঞানী ব্যবস্থা কর্ত্তা ছিলেন, কিন্তু র্তাহার সময়ের অপরিহার্য্য দোষ জন্য অনেক অসম্পূর্ণত উৎপন্ন হইয়াছিল। যদিও তিনি রোমাণ ধর্ম্মাধ্যক্ষের অনুমতি ছিলেন, তথাপি আপনাকে রাজা ভিন্ন ক4ন অন্য জ্ঞান করিতেন না, এব^ জানিতেন, বিশ্বপতি সকল রাজ্যের প্রভুত্ব র্তাহার হস্তে বিশ্বাস পূর্ব্বক সমপণ করিয়াছেন । তিনি প্রজাদিগের , নিমিত্ত যে সকল ব্যবস্থা প্রস্তুত করিয়াছিলেন, দোষী পুরোহিতদিগকেও তাহার অধীন করিলেন, এবN ধর্ম্মাধ্যমুদিগের ব্যবস্থেয় পর্যক্রম প্রায় একেবারেই উঠাইয়া দিলেন । * .. আলফুেড়ের ব্যবস্থা ই রাজদিগের সুবিচারের প্রধান মূল ইহাহইতেই এই স্বাধীন বিজয়ী ব্যক্তিরা তাহাদের সর্ব্বোৎকৃষ্ট ক্ষমতা লাভ করেন। তিনিই প্রথমে প্রজাদিণের পরসপরের উপর বিচার করিবার ক্ষমত প্রদান করেন। ইহাতে প্রতিবাদী কথনই বিচাৰকর্ত্তাদিগের নিকটহইতে অবিচার প্রত্যাশা করিতেন না, কারণ তিনিও এক বার তাহণদের বিচার কর্ত্ত হইতে পারিতেন ; এব^ তাহাদের রক্ষাও সাধারণের সুবিচারের উপর নির্ভর করিত। আলফুেত্ব এই অনুজ্ঞা করেন যে, ভদ্রবণশীয়ের অন্য দ্বাদশ জন ভদ্র ব্যক্তি কর্তৃক বিচারিত হইবেন, এব^ সাধারণের পক্ষেও সেই রূপ একাদশ জন সাধারণ প্রজা ও এৰু বন ভদ্র ব্যক্তি নিযুক্ত হইবেক । এই বিশেষ ক্ষমতা