পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৭

ব্রাহ্মধর্মের বৈশিষ্ট্য R মধ্যে বিধাতার হস্ত আছে। ইংরাজের মেয়েদিগের যে-সদগুণ দেখিয়াছি, তাহা চক্ষে রাখিয়া আমাদের দেশের পারিবারিক জীবন গঠন করিতে হইবে। জগদীশ্বর আমার এই কার্ষের সহায় হউন। YBDB BD D DDDDDDDD D BDDBBBiD DD tDDBBB পরমহংসের গল্প করিতে করিতে র্তাহারা জিজ্ঞাসা করিলেন যে, রামকৃষ্ণ জাতি মানিতেন না, ঠাকুর পূজা করিতেন না।--তাহাতে সমাজ ওঁহাকে ঘূণা করিত কি না । আমি বলিলাম-না” । তৎপরে এই প্রশ্ন মনে উদয় হইল যে, আমরা তা জাতিভেদ ও পৌত্তলিকতা বর্জন করিয়াছি ও ধর্মসাধন করিতে চাই ; আমরা কেন লোকের দ্বারা ঘৃণিত বোধে পরিত্যক্ত হইতেছি । ইহায় এক উত্তর : তাহারা হিন্দুভাবে প্রচার করিয়াছেন ; অর্থাৎ, সন্ন্যাসী বা সাধুত্ব যেভাবে লোকের অন্তরে বিদ্যমান আছে, সেই ভাবাপন্ন হওয়াতেই ইহাদেৱ প্রতি লোকের আস্থা এবং শ্রদ্ধা । আমরা কেন এইভাবে প্রচার করি না, তাহা হইলে তা লোকে আমাদিগের কথা অধিক মনোযোগের সহিত শুনিবে ?--কিন্তু আমরা ত জীবনের সে-প্রকল্প আদর্শ দেখাইতে চাহি না ; কারণ, তাহার প্রধান ভাব-মানব জীবনের প্রতি ঘূণা ; মানবের দিকে পশ্চাৎ ও ঈশ্বরের দিকে সম্মুখ। এই ভাবের প্রশ্রয় আমরা দিতে পারি না। মানবজীবন মানবপ্রকৃতি মানবদেহ মানবসমাজ-এসমুদায়কে ঈশ্বরের লীলাক্ষেত্র বলিয়া আমাদের দেখিতে হইবে। আমাদের প্রাচীন ভাবের পক্ষপুটের মধ্যে আশ্রয় লইয়া নূতন ডাক ডাকিলে চলিবে না ; মুরগীর ভানায় তলে বসিয়া হাঁসের ডাক ডাকিলে হইবে না। মানবের সেবাই ঈশ্বরের সেবাএই ভাবকে ভাল করিয়া ধারণ করিয়া সাধন করিতে হুইবে! : কল্য। আর একটি বেশ কথা মনে হুইয়াছে ; সেটি এই-বৌদ্ধধর্ম এদেশে এক হাজার বৎসরকাল প্রচারিত হইয়া, রাজাদিগের দ্বারা গৃহীত হইয়াঃ । অবশেষে এ দেশ হইতে বিলুপ্ত হইল কেন ? হিন্দুধর্মের এমন একটি ঘনত্বখণ্ড জীবন আছে, ঘাঁহা সকল আক্রমণকে বাধা দিয়াছে বৌদ্ধধিগোয় প্রকা S, 39