পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ऐ९ज८७द्ध एछाgअि জাহাজের কর্মচারিগণ আরোহীদিগের প্রতি আতিশয় সৌজন্যের সহিত ব্যবহার করে ; আমাদিগকেও সৌজন্যের সহিত ব্যবহার করিতে হয়। তাহারা ভূত্য বটে, কিন্তু কিছু আদেশ করিবার সময়- “অনুগ্রহ করিয়া” এটা কর কি ঐ জিনিসটা আনিয়া দেও বলিতে হয়। এইখানেই ইংলেণ্ডের মহুত্বের ভিত্তি দেখিতেছি। ইহারা সামান্য চাকর,-রাধে, পরিবেশন করে, বিছানা ঝাড়িয়া দেয়, জুতা ব্রাশ করে, তথাপি ইহাদের আত্মমর্যাদাজ্ঞান এরূপ স্বাভাবিক ও উজ্জল যে, আমরা সমুচিত সৌজন্য ব্যতীত ইহাদের সঙ্গে কথা কহিতে পারি না। তুলনায় আমাদের সঙ্গে কি আশ্চর্য প্রভেদ । বিবিধ প্রকার পরাধীনতার মধ্যে বহুকাল বাস করিয়া আমাদের দেশের লোকের আত্মমর্যাদাজ্ঞান লুপ্তপ্রায় হইয়াছে। এই খানেই আমাদের সকল দুৰ্গতির মূল। প্রাচী ও প্রতীচী উভয়ের এই এক বিষয়ে মহা প্রভেদ দেখিতেছি। প্রতীচীতে ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাজ্ঞান খুব পরিস্ফুট, প্রাচীতে ইহা বিলীন। এইজন্যই প্রাচীতে রাজকীয় যথেচ্ছাচার বদ্ধমূল হইতে পারিয়াছে। কিন্তু এই প্রাচ্য আত্মমর্যাদাজ্ঞান বিলোপের মূল কোথায়? আমার বোধহয়, গোত্র প্রথা ও জাতিভেদ-প্রথার ন্যায় সামাজিক প্রথাসকল প্রচলিত হওয়াতে প্রাচীতে সমাজাঙ্গীকৃত প্রত্যেক ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে সমাজের অধীন হইয়া পড়িয়াছে। ক্রমে সমাজশক্তি দ্বারা ব্যক্তির শক্তি পরাহত ও চূর্ণীকৃত হইয়াছে। প্রতীচীতে ইহার বিপরীত কারণে, ব্যক্তিগত শক্তি সুরক্ষিত হইয়াছে। ফিউড্যাল সিস্টেম ব্যক্তিগত শক্তির পরিপোষক হুইয়া তাহাকে রক্ষা করিয়াছে। এখন ভারতবর্ষকে তুলিতে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তির অন্তরে এই আত্মমর্যাদা জ্ঞান প্রস্ফুটিত করিতে হইবে। সে যাহা হউক, আমরা জাহাজে পদাৰ্পণ করিতে না করিতে প্রান্তরাশের ঘণ্টা বাজিল। আমি কিন্তু আজ প্রান্তরাশে গেলাম না। আমার জন্য নিরামিষের কিরূপ বন্দোবন্ত হইয়াছে, তাহা জানিবার অগ্রে গিয়া কি छछख्खन श्छेद ?