পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( x R } অর্থে বুঝিতে হইবে যে, সেই ধাতুর প্রধান উপাদানগুলির অর্থাৎ সারা ভাগের ক্ষয় হইয়া অসার ভাগ মাত্র অবশিষ্ট আছে। চিফধাতু বেশী শীতল হইয়া গাঢ় হইয়া গেলে, তাহার সারস্পদার্থ জমিয়া অদৃশ্য প্রায় হয়,-তাহাতে ভ্রম হইতে পারে যে,উহার সার পদার্থসমূহ ক্ষয় পাইয়া উক্ত ধাতু সওদায় পরিণত হইয়াছে। কিন্তু উহা বাস্তবিক সওদা নহে। কারণ, কোন ধাতু জুলিয়া সওদা হইলে তাহার বর্ণ কাল হয়,- কফ বেশী শীতল হইয়া গাঢ় হইলে শ্বেতবর্ণযুক্ত থাকে। বিকৃত সওদাকে প্রকৃতিস্থ করিতে সাধারণতঃ সেপেস্তান, গাও-জবান, খরমুজের বিচি, ছাল বাদ দেওয়া যঞ্জি-মধু, কানুচার বিচি, পাকা যজ্ঞ-ডুম্বর (কাবুলী), মনাক্কা ইত্যাদি শৈত্য ও উষ্ণ গুণবিশিষ্ট দ্রব্য ব্যবহার হয়। কিন্তু পিত্ত জ্বলিয়া সওদা হইলে খোরুফা (নুনেশ্যাক), বিহিদানা, শশা ও কঁকুড়ের বিচি ইত্যাদি শৈত্য ও আর্দ্র গুণবিশিষ্ট দ্রব্য ব্যবহার করিবে । রক্ত জ্বলিয়া সওদা হইলে শৈত্য ও শুষ্ক গুণবিশিষ্ট, সওদা জুলিয়া সওদা হইলে উষ্ণ ও শৈত্য গুণবিশিষ্ট, এবং কফি জুলিয়া সওদা হইলে উষ্ণ ও শুষ্ক গুণবিশিষ্ট ঔষধ ব্যবহার্য্য । সওদা ধাতুকে স্বাভাবিক অৰস্থায় আনিবার জন্য যে সমস্ত সরবত, সেকেঞ্জবীনগঞ্জ ও মোদক ঔষধ আবশ্যক, তাহদের মধ্যে কতকগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া যাইতেছে ; চিকিৎসক মূল পুস্তকসমূহে বিস্তারিত দেখিবেন।

  • মিছারী কিম্বা চিনির সহিত সির্কা পাক করিয়া সেকেঞ্জধীন প্রস্তুত