পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) প্রত্যেক ৫ ড্রাম (১৭) মাসা ; এই সমস্ত ঔষধ উত্তম রূপে খিচ-শূন্য ভাবে চুর্ণ করিয়া ছাকিয়া লইবে। পরে দাড়িম্বের | রস, হাম্বাজের রস ও জেরেস্কের রস প্রত্যেক ১০ ড্রাম (৩৫ মাস) এবং মিছরি ও বানাফসার সরবত প্রত্যেক ১০০ মিস্কাল (৪৫০ মাস বা ৩৭৷ তোলা) একত্র মিলাইয়া সরবত প্রস্তুত করিয়া উপরোক্ত চুর্ণ তাহাতে মিশ্রিত করতঃ মোদক প্রস্তুত করিবে । গাও-জবানের সরবত ইহার প্রস্তুত প্রণালী ||- টাটুকা গাওজবানের পাতার রস এক সেরের সহিত এক সের মিছরি মিশাইয়া সিদ্ধ করিবে। ক্রমশঃ যত ফেণা হইবে সমস্ত ফেলিয়া দিবে; পরে যখন ফেণা উঠা বন্ধ হইবে, তখন উহাতে ২০ মিস্কাল (৯০ মাস বা ৭৷ তোলা) গোলাপ জল মিশাইয়া সরবত প্রস্তুত করিবে। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি ২ তোলা পরিমাণ সেবন করিবেন । গাও-জীবনের পাতা দেখিতে অবিকল গাভী জিহ্বার ন্যায় বলিয়া উহার ঐ রূপ নাম হইয়াছে । বাদরঞ্জ বোয়ার সরবত প্রস্তুত প্রণালী -- কাঁচা বাদরাস্তু বোয়া পাতার রস ১ ভাগ ও মিছারী ২ ভাগ দিয়া সরবত প্রস্তুত করিবে । উপরোক্ত ঔষধ সমস্ত চিকিৎসক বিবেচনা পূর্বক ব্যবহার করিবেন।--অর্থাৎ রোগীর অবস্থার বিষয় জ্ঞাত হইয়া স্থল বিশেষে শৈত্যকারক ও গরম ঔষধ ব্যবহার করিবেন। শিরার মধ্যে সওদা অত্যন্ত বিকৃত হইলে অর্থাৎ পচিয়া গেলে রোগীর নিশ্চয় জ্বর হইবে ।