পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २० ) বহির্গত হইতেছে এবং কোন কোন ধাতু দুযিত হইয়াছে এবং তাহদের কত পরিমাণ বহির্গত হইল, তাহ অনায়াসে নির্ণয় করিতে পারেন ; এবং পরে রোগীর শরীরের ভূষিত ধাতু বাহির হইয়া যাইলে, চিকিৎসক তৎক্ষণাৎ রক্ত নিৰ্গমন বন্ধ করিয়া দিতে পারেন। রোগ বিশেষে ও রোগীর ধাতু বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার জোলাপ দিতে হয়। কিন্তু রক্ত মোক্ষণে এ সব বড় বিচার করিতে হয় না । যে কোন রোগ হউক না কেন রক্ত মোক্ষণ দ্বারা অনায়াসে উহ। তৎক্ষণাৎ আরোগ্য হইয়া থাকে। পূর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে, জোলাপ দিতে হইলে বিকৃত ধাতু সকলকে ঔষধ দ্বারা প্রকৃতিস্থা করিয়া জোলাপ লাইতে হয়। কিন্তু রক্ত মোক্ষণ করিলে সে সকল না করিলেও চলিতে পারে । বার বৎসর বয়স অতীত না হইলে, স্ত্রী কিম্বা পুরুষ কাহারও রক্ত মোক্ষণ করা নিষিদ্ধ ; কারণ বার বৎসরের পূর্বে শরীরে কাফের আধিক্য এবং রক্তের অত্যািল্লতা ও তরলতা বশতঃ রক্ত মোক্ষণ অন্য রোগোৎপত্তির কারণ হইয়া থাকে; অপর পক্ষে ৬০ বৎসর বয়স পরেও রক্ত মোক্ষণ বিধেয় নহে। যেহেতু তৎকালে শরীরে রক্ত অতি অল্প এবং অত্যন্ত গাঢ় হয় ও কফাধিক্য হইয়া থাকে এরূপ অবস্থায় রক্ত মোক্ষণ করিলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল ও অবসন্ন হুইয়া মৃত্যু হইবার সম্ভাবনা । রক্ত বৃদ্ধি কিম্বা গরম হইয়া কোন রোগ হইলে, রক্ত মোক্ষণ দ্বারা আবশ্যক পরিমাণ রক্ত নির্গত হইবার পূর্বেই রক্ত নিঃসরণ বন্ধ করায় যদি জ্বর হয়, তাহা হইলে পুনরায় রক্ত মোক্ষণ করিতে হইবে।