পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १७ ) পারে তাহা হইলে বাসালিক কিম্বা আকাহাল শিরা হইতে রক্ত মোক্ষণ করাইতে হইবে। জোলাপ লইয়া কতক পরিমাণে দাস্ত হইবার পর পাকস্থলিতে যদি অত্যন্ত জ্বালা বোধ হয়, তাহা হইলে বিহিদানা কিম্বা ইসফগুল অথবা দুলাল তুলসীর বিচি গোলাপ জলে চট্ৰকাইয়া ছকিয়া মিছারী মিশ্রিত করিয়া পান করাইতে হইবে। রোগীর প্রকৃতি অনুসারে চিকিৎসক অপর ঔষধও সেবন কুরাইতে পারেন ; ঔষধ সেবানান্তে রোগীকে লঘু পাক দ্রব্য” আহার করিতে দিতে হইবে। জোলাপ দিবার পর অধিক দাস্ত হইলে চিকিৎসক যদ্যপি দাস্ত বন্ধ করা আবশ্যক বিবেচনা করেন এবং রোগীর যদি জ্বর না থাকে তাহা হইলে ঘোল ভাত খাইতে দিলে দাস্ত বন্ধ হইয়া যাইবে। যদি রোগীর জুর থাকে তাহা হইলে দুলাল তুলসীর বিচি কিম্বা নুনেশাকের বিচি অথবা বার্তােঙ্গর বিচি ভাজিয়া জলে বাটিয়া অদ্ধপোয় জলে মিশ্রিত করতঃ উহাকে চূর্ণকয়া লইবে । পরে উহার সহিত দুই ভরি মিছারী/মিশ্রিত করিয়া ইসফগুল ভাজা উহার উপর ছড়াইয়া দিয়া রোগীকে সেবন করাইতে হইবে । বিনা জোলাপে হঠাৎ কোন ব্যক্তির অধিক পরিমাণে দাস্ত হইতে থাকিলে যে যে ঔষধ দ্বারা দাস্ত বন্ধ হইয়া থাকে তাহা পরে বর্ণিত হইবে । জোলাপ দ্বারা দাস্ত হইলে, জল শৌচের জন্য ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করা। কর্ত্তব্য। খাতিমী গাছের শিকড় জলে সিদ্ধ করিয়া সেই জল ঈষদুষ্ণ থাকিতে তদ্বারা জল শৌচ সর্বোৎকৃষ্ট ফলদায়ক । এইরূপ করিলে মলের উষ্ণতা