পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৩ ) অতি সহজেই বমন হইয়া থাকে। বমন করাইবার সময় উহাদিগকে আবদ্ধ স্থানে বসাইয়া বমন করান কর্ত্তব্য। বমন করাইবার সময় রোগীকে ঠিক সোজা করিয়া বসাইতে হইবে এবং বস্ত্রদ্বারা তাহার চক্ষুদ্বয় বন্ধন করিয়া, রাখিতে হইবে ; তাহা হইলে বমনের সহিত নিৰ্গত দূষিত পদার্থের কাজ চক্ষে লাগিতে পরিবে না । অনেকের মতে দাড়াইয়া বমন করিবার বিধি আছে। একবার বমনের ঔষধ প্রয়োগ করিলে যদি উহাতে পরিষ্কাররূপে ‘বামন না হয়, তাহা হইলে কিছুক্ষণ পরে পুনরায় বমন করাইতে পারা যায় অথবা তৎপর দিবস কিম্বা এক দিবস পরেও বমন করান। যাইতে পারে। কফ প্রধান ধাতু বিশিষ্ট ব্যক্তিদিগকে বমনের পর মধুর সেকেঞ্জাবীন গরম জলের সহিত মিশ্রিত করিয়া কুল্লি করাইবে ও কেবল গরম জল দ্বারা মুখ ও চক্ষু প্রক্ষালন করাইতে হইবে। মধুর সেকেপ্লবীন পাওয়া না গেলে শুদ্ধ গরম জল ব্যবহার করিলেও চলিতে পারে। পিত্ত-প্রধান-ধাতু। বিশিষ্ট ব্যক্তিদিগকে মিছারীর সেকেধ্ৰুবীন শীতল জল সহ মিশ্রিত করিয়া কুল্লি করাইতে হইবে ও চক্ষুদ্ধয় শীতল জল দ্বারা প্রক্ষালন করাইবে। বমনের পর কুল্লি করান উচিত। কারণ তাম্বারা দূষিত দ্রব্য সকল মুখ বিবর হইতে নিৰ্গত হইয়া যায় ; এই সকল দ্রব্য মুখের ভিতর অথবা তালুদেশে লাগিয়া থাকিলে শিরঃপীড়া হইবার সম্ভাবনা । কুলি করাইবার পর শ্লেষ্মা প্রধান-ধাতু রোগীকে এক