পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( b^७ ) এবং কফ জুলিয়া সেই সওদার উৎপন্ন হইয়াছে জানিতে হইবে। মতান্তরে হাকিমেরা বলিয়া থাকেন যে, ঐ সওদা পিত্ত জ্বলিয়া উৎপন্ন হইয়াছে। তঁহারা বলেন, কৃফ জুলিয়া সওদা হইলে প্রস্রাবের বর্ণ কিয়ৎ পরিমাণে কাল হইবে। ২। প্রস্রাবের সবুজ বর্ণ কখন কখন নীলের আভাযুক্ত হইয়া থাকে, ইহাতে উপরোক্ত পেস্তা বর্ণের প্রস্রাব অপেক্ষা অধিক “শ্লেষ্মার প্রকোপ জানিতে হইবে । বালক বালিকাদের উপরোক্ত দুই প্রকার বর্ণ বিশিষ্ট প্রসােব পক্ষাঘাত ও হস্ত পদাদির আক্ষেপ রোগের পূর্বলক্ষণ জানিতে • ৩ । লৌহ বর্ণ বিশিষ্ট সবুজ প্রস্রাব। ইহা কিয়াৎপরিমাণে শ্বেত বর্ণের হইয়া থাকে এবং ইহা হইলে জানিতে হইবে যে, শরীর অত্যন্ত গরম হইয়াছে । ৪ । গাদিন শাকের ন্যায় সবুজ অর্থাৎ গাঢ় সবুজ বর্ণের, প্রস্রাব। ইহা পিত্ত জ্বলিয়া যাওয়ার লক্ষণ, কিন্তু তৃতীয় অবস্থা অপেক্ষা ইহাতে গরম কম হইয়া থাকে। (৪) কৃষ্ণবর্ণের প্রস্রাব চারি প্রকার হইয়া থাকে। ১ । প্রথম প্রকারের কৃষ্ণবর্ণ প্রস্রাবে কতক পরিমাণে জরদ এবং প্রথম নিঃসরণ কালে ল্যালের আভা প্রকাশ পাইয়া থাকে এবং প্রসাব দুৰ্গন্ধ বিশিষ্ট হয়। এই প্রকার প্রস্রাব হইলে বুঝিতে হইবে যে, পিত্ত এরূপ বৃদ্ধি ও গরম হইয়াছে যে, হয় নিজে জুলিয়া গিয়াছে, নতুবা অবশিষ্ট ধাতু গুলির কোনটীকে কিম্বা সকল গুলিকে জ্বালাইয়া দিয়াছে।