রাধবো আবার ছেলে সামলাবো, তিনি রাজরাণী আর ছেলে নিয়ে বাপের বাড়ি যেতি পারলেন না! ও মেজদি—মেজদি-কেউ যদি বাড়িতি থাকবে কাজের সময়। বোস এখানে-এই!•••দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা। আবার তেলের বাটি হাতে নিইচিস?
খোকন বলল-বাটি।
—বাটি রাখো ওখানে।
—মা।
—মা আসচে বোসো। ঐ আসচে।
খোকন বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখে বললে নেই।
তারপর হাত দুটি নেড়ে বললে—নেই। নেই—যা-আঃ-
—আচ্ছা নেই তো নেই। চুপটি করে বোসো বাবা আমার —
—বাবা।
—আসচেন। গিয়েচেন নদীতে নাইতি।
—মা।
—আসচে।
—মা।
—বাবা রে বাবা, আর বকতি পারিনে তোর সঙ্গে! বোসো-এই। গরম-গরম-পা পুড়ে যাবে! গরম মুক্তনির ওপর গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। ও মেজদি-
এইবার খোকন কান্না শুরু করলে। নিলুর গলায় তিরস্কারের আভাসে, কান্নার সুরে বলে-মা-আঁ-আঁঁ-
নিলু ছুটে এসে খোনকে কোলে তুলে নিয়ে বললে—ও আমার মানিক, কাঁদে না সোনামণি-~-রামমণি-শ্যামমণি—চুপ চুপ। কে কেঁদেচে? আমার সোনার খোকন কেঁদেছে। কেন কেঁদেছে? মেজদি—যা সব সব, যমের বাড়ি যা—আমার খোকনের খোয়ার করে পাড়া বেরুনো হয়েচে!
খোকন ফুলে ফুলে কাঁদতে কাঁদতে বললে — মা-
১৬০