পাতা:ইছামতী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মলি পরে!…প্রসন্ন চক্কত্তি ফোঁস করে দীর্ঘনিশ্বাস ফেললে।

 —“আহাহা! ঢঙ! রাগে গা জ্বলে যায়। গলার সুর যেন কেষ্টযাত্রা—বললাম একটা সোজা কথা, না—কে কাঁদবে মলি পরে, কে হেন করবে, তেন করবে! সোজা পথে চললি হয় কি জিগ্যেস করি?

 —যাকগে।

 —ভালোই তো।

 —আমারে দেখলি তোমার রাগে গা জ্বলে, না?

 —আমি জানিনে বাপু। যত আজগুবী কথার উত্তর আমি বসে বসে এখন দিই! খেয়ে দেয়ে আমার তো আর কাজ নেই—আসুন গিয়ে এখন, মা আসবার সময় হোলো—

 —বেশ চললাম এখন গয়া।

 —আসুন গিয়ে।

 প্রসন্ন চক্কত্তি ক্ষুণ্ণমনে কিছুদূর যেতেই গয়া পেছন থেকে ডাকলে—ও খুড়োমশাই—

 প্রসন্ন ফিরে চেয়ে বললে—কি?

 —শুনুন!

 —বল না কি?

 —রাগ করবেন না যেন!

 —না! যাই এখন—

 —শুনুন না।

 —কি?

 —আপনি একটা পাগল!

 —যা বলো গয়া। শোনো একটা কথা—কাছে এসো—

 —না, এখান থেকে বলুন আপনি।

 —নিধুবাবুর একটা টপ্পা শোনবা?

 —না আপনি যান, মা আসচে—

২১৬