পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাসপাতাল হয়েই বাড়ি ফেরে, ঘনশ্যাম । বারতলায় ছোটখাটো লোকদেখানো হাসপাতাল, একটি পাক ঘর ও একটু চালা। ওষুধ বা পরামর্শ কিছুই পাওয়া গেল না, সময় পায় হয়ে গেছে । আটটার আগে না এলে ও-সব C ്യ বেদম জরটা ছেড়েছে ডাক্তারবাবু, তবু বড় বেশী রকম ছটফট করছে- , কাল এসো, কাল । বাড়ির কাছাকাছি পৌছে সে মড়া-কান্না শুনতে পেল। কয়েকটি স্ত্রীলোকের শৃগালার মধ্যে দয়ার গলাটি সবচেয়ে তীক্ষা ও স্পষ্ট । গাদাও কঁদিছে জায়ের সঙ্গে । বিষ্ণু চক্রবর্তীর বাড়ি সদর টাউনে। শুধু এই এলাকায় নয় আরও ছড়ানো তার নাম, লোকে শ্রদ্ধা করে, বিশ্বাস করে । তেভাগা আন্দোলনে জেলে গিয়েছিল, সদ্য ছাড়া পেয়েছে । দুচারদিনের মধ্যে তার এদিকে আসার কথা। একটা জাকাল রকম সম্বর্ধনা জানাবার আয়োজন হচ্ছে । পয়সা খরচের হিসাবে নয়, লোক জমানোর হিসাবে জাকাল সম্বধন । তা, খবর পেলে লোক জমবে তাতে সন্দেহ নেই। নন্দর ডিসপেনসারিতে বসে এই কথাই কৈলাস আলোচনা করছিল, এমন সময় এল গাদা । সঙ্গে কেউ নেই, অল্প একটু ঘোমটা টেনে একলাই এসেছে। উত্তেজনা চেপে রাখতে নিশ্বাস ফেলছে ছোট ছোট । দেখতে গেছলেন কাল ? কেমন আছে ? ভালোই আছে ; শরীরটা একটু দুর্বল, সেরে যাবে। গাদা আঙুলের কোণটা আঙলে জড়ায়। তার আরও কিছু জিজ্ঞাস্য আছে। ୪ (: