পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখ ফুলে দুজনের দিকে একবার চেয়ে মাথা নামায়। মৃদুস্কারে বলে, বিষ্ণুবাবু ছাড়া পেল, আরেকজন কৰে ছাড়া পাবে ? : . . ' ' দুজনকে চুপ করে থাকতে দেখে তীব্র ভংসনার দৃষ্টিতে কৈলাসের দিকে চেয়ে গাদা অভাবনীয় ব্যঙ্গ আর ঝাজের সঙ্গে আবার বলে, বুঝতে পারছি না। কৈলেসাদা ? তোমার খাতিরের ছোট শালা গো, শঙ্কু নাম দিয়ে তোমরা, যাকে জেলে পাঠিয়েছ। নন্দের দিকে সে তাকায় না । বঁকা হয়ে দাড়িয়ে তার দিকে আধখানা, পিছন ফিরেই থাকে। কুটুম সম্পর্কে সে শুধু কৈলাসের শালার বৌ নয়, তার সঙ্গে নিবিড় স্নেহের ঘনিষ্ঠতাও আছে। গায়ের চেনা মানুষ জানা ডাক্তার, -নন্দের সঙ্গে এইটুকু তার সম্পর্ক। নন্দ যেন হাজির নেই এই ভানটুকু ছাড়াঃ এই সুরে এমন ভাবে কথা কওয়া চলে না। তার মত ছেলেমানুষ বৌয়ের। কৈলাস একটু ভড়কে গিয়ে বলে, তোর ভাতারটিকে কেউ জেলে পাঠায়নি, শন্তু নামও দেয়নি। সে নিজেই নাম ভাড়িয়ে জেলে গেছে। কিন্তু তুই কার কাছে শুনলি গাদা ? তুমি আর কথা কোয়ে না। কৈলোসদ । লক্ষ্মীদিকে সব বলতে পেরেছি, চেপে যাওয়া হল মোর কাছে!! কী মানুষ তুমি মাগো ! লক্ষ্মীদিকেও বলিহারি যাই । একটা মানুষের ছ-মাংস খোজ নেই, দিবারাত্তির ভেবে ময়ছি জেলে আছে শুনে ভাবনা কমেছে নাকি ? কমবে না ? মানুষটা যেখানে হোক বেঁচেবর্তে আছে হদিস মিলল, ধড়ে প্রাণ আসবে না ? অ্যাদিন কি বলে কথাটা চেপে রেখেছিলো নিজেদের মধ্যে ? যার কথা তারি। হুকুমে। ওকে চিনতাম আমি, আমায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল কাউকে কিছু বলতে পাব না। তোর কথা ভুলিনি, স্পষ্ট শুধিয়েছিলাম, গাদাকে চুপিচুপি বলব তো ? কিন্তু শালার হুকুম মেলেনি। পরিষ্কার বলে দিয়েছে তোকে জানালেও সাংঘাতিক বিপদ ঘটবে। আমি তবু লক্ষ্মী আর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেছিলাম, কি করা যায়। ওরাও Se