পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ' গঙ্গা বলে, আমি একটু ওপাড়ায় यांछि मम । রায়েদের বৌটা নাকি বঁচে DD DBD SS S S C S S SS নন্দ বলে, সে তো জানি। কিন্তু তুই মিছেই যাচ্ছিস গঙ্গা, কিছুই করতে পারবি না। আমাকে ওয়া মরে গেলেও ডাকবে না, ডাকলেও চিকিৎসা হতে দেবে না। ওরা চায় বৌটা মরে যাক । তুমি যদি নিজে বসে থেকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে ইনজেকশন দিয়ে-? · নন্দ মাথা নাড়ে-জোর করব কিসের জোরে ? ঘোষিদের সেজ বোঁটা বিষ খেয়েছিল, ওরাও চেয়েছিল মরে তো মরে যাক। থানা-পুলিসের ভয় দেখিয়ে জোর করে গিয়ে বসে চিকিৎসা করেছিলাম। কিন্তু এ যে অসুখ। বিনা চিকিৎসায় খুন করলেও কারো কিছু বলার নেই, করারও নেই। গঙ্গা এক মুহুর্ত ভাবে। নন্দের চেয়ে সে মোটে বছর দেড়েকের ছোট হবে, ছেলেবেলা থেকে পরস্পরের নাম ধরে ডাকার অভ্যাসটা বজায় রয়ে গেছে। ছিপছিপে দীঘল গডন, কালো রং, মাথায় সামান্য কেঁকড়ানো একরাশি চুলখোপাট হয়েছে প্রকাণ্ড । গুমোটের মত মুখে থমথমে ভাব। চাউনি দেখলে মনে হয় যে বুঝি কোন কারণে ভয়ানক রেগে আছে। কথা শুনলে এ ভুল ভেঙে যায়। আশ্চর্য রকম ধীর শান্ত আর সুমিষ্ট তার গলার আওয়াজ । এক কাজ করা যাক না। নন্দ ? আন্দাজে ওষুধ দিয়ে দে না, পারি তো খাইয়ে দেব ? ইনজেকশন দরকার হলে তাই বরং ঠিকঠাক করে আমায় দিয়ে দে। এমনি তো মরবোই, যদি বাচানো যায়-? নন্দ একটু হাসে, এত শেখালােম পড়ালাম, শেষে এই তোর বিদ্যে হল ? জোর করে ওষুধ খাওয়াবি, ইনজেকশন দিবি ! মরে গেলে তোকে যখন খুনের দায়ে ফেলবে, তখন কি হবে ? আমার ভাই ডাক্তার, ভাই-এর কাছে ডাক্তারি শিখেছি বললে তো শুনবে না লোকে । যা পারে করবে। আমার। বৌটা তো বঁাচবে। নন্দ চুপ করে থাকে। গঙ্গার এটা বড়াই নয়, নিছক মুখের কথা নয়। У a o