পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের ভালোমন্দ সম্পর্কে এই চরম অবজ্ঞাটুিকু সম্বল করেই সে দু-বছর আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে ভাই-এর কাছে চলে এসেছিল। . ' দু-বছরে হতাশা কাটাতে পেরেছে কিন্তু নিজের সম্পর্কে এই বেপরোয় উদাসীনতা আজও তার ঘোচেনি । গঙ্গা বলে, তবে শুধু একটু দেখেই আসি। বলে-কয়ে যদি কিছু করা যায়। গাদা আর গঙ্গা চলে গেলে তীব্র আপসোসের সঙ্গে কৈলাস বলে, সত্যি মারছে বৌটাকে । লক্ষ্মীও তাই বলছিল। বাচানো যায়, অথচ তাকে মরতে ८७शl ? ५८ऊ शून उांझे ! খুন বৈ কি। সংসারে এমন কত খুন হচ্ছে। একটু থেমে নন্দ যোগ দেয়, এরা চিকিৎসা না করিয়ে মারছে। চিকিৎসার অভাবে যারা মরে ? কৈলাস বলে, খেতে না পেয়ে যারা মরে ? তারা স্থির দৃষ্টিতে পরস্পবের দিকে চেয়ে থাকে। 轴 মহিমের ব্যাপারের খাপছাড়া জটিলতাটুকু সত্যই মহিমের নিজের সৃষ্টি । রোজগারের চেষ্টা করার জন্যই মহিম শহরে পালিয়েছিল, আর কোন উদ্দেশ্যই তার ছিল না। শহরে গিয়ে পয়সা কামাবে, গাদাকে বুঝিয়ে দেবে সে অপদার্থ নয়। ঠিক এই কারণে এভাবে একটা জোয়ান ছেলের পক্ষে ঘর ছাড়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। তার উৎসাহ আর আত্মবিশ্বাস দেখে এ প্রশ্ন মনে জাগা সম্ভব ছিল যে এও কি সেই বহুপরিচিত কাহিনীর পুনরাবৃত্তি, এও কি সেই অনভিজ্ঞ রোমান্টিক তরুণের অজানা জগৎকে জয় করতে বুক ঠকে বেরিয়ে পড়ার অ্যাডভেঞ্চার ? কিন্তু মহিম তো চাষীর ছেলে, সে কোথায় পাবে এই অবাস্তব আশা আর দুঃসাহস, মিথ্যা স্বপ্ন আর কল্পনার রসেই যা পুষ্ট হয় ? পেটের দায়ে গা থেকে দলে দলে যারা রোজগারের আশায় শহরে যায়, তাদের হাল কি সে জানে না ? জন্ম থেকে Y e Y