পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে বলে, বেশ তো ভাগ্নে, খেও । পেঁয়াজ কলির চচ্চড়ি রেখেছি। আমায় সাথেই শুয়ো । তামাসার জবাবে তামাসা কিন্তু একটুও হাসে না। সুরমা। কুপী জেলে পিছনের ঘরে যায়। কঁচা-পাকা বাবরি চুল পিছনে ঠেলে দিয়ে খোড়া পায়ে একটা থাপ্পড় মেরে হাসি মুখে বিড়ি ধরিয়েছিল গজেন। না, মেয়েটা সত্যি চালাকচাতুর । নইলে এই আচল অবস্থায় স্টেশনের ধারে এই চালা ঘরে একগুয়ে সনাতনকে নিয়েই শেষ পর্যন্ত একটা সুখের নীড় গড়তে পারত ! তার বড় মেয়ের বয়সী হবে সুরমা। তবু তাকে সে মামী বলে ডাকে। কারণ সনাতন দূর সম্পর্কে তার ভাগ্নে হয়। দূরে গাড়ির আলো দেখা গেলে সেদিকে চেয়ে সনাতন চিন্তিত ভাবে বলে, প-টা হঠাৎ টাটাল যে মামা ? গুলির চোটে ঠ্যাংখোডা হলে মাঝে মাঝে অমন টাটায়। তুই কি বুঝবি ? ঝাপ আমি লাগাবখন মামা । তুমি এসে খেয়ে নিয়ে শুয়ে পড়। একটা মালিশ টালিশ হলে গজেন বিড়ির ধোয়া ছেড়ে হেসে বলে, তুই সত্যি গোমুখুব সনাতন ! সশব্দে ট্রেনটা এসে থামে। আওয়াজ শুনে খেকি কুকুরটা এসে দাড়িয়েছে দোকানের সামনে, খাবার কিছু কেন কাটা হলে পাতাটা চাটতে পাবে। সম্প্রতি বাচ্চা পেডেছে, সমস্ত শবীরটা চামড়া ঢাকা কঙ্কালের মত শীর্ণ, শুধু আকণ্ঠ খিদের আগুন । জালা পেটটার নীচে ঝুলছে সরস দুধে ফুলে ওঠা স্তনগুলি । একজন যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটা চলে যায়। মোটে একজন ? সনাতন চটে বলে, দু্যৎ । একঘণ্টা বসে থাকাই সাব হল। কেন, দশ বারো গণ্ডা পয়সা বেচলি না ? তা বটে। এই শেষ গাড়িব যাত্রীর আশাতেই কি আর তারা দোকান খোলা রেখেছে। এতক্ষণ। গায়ে হঁাটা পথিক পদের দু-চারজন না। জুটলে আটটার গাড়ি বেরিয়ে গেলেই ঝাপ বন্ধ করত। মাথা ঢেকে গায়ে চাদর জড়ানো যাত্রীটির । । চেনা না গেলেও বোঝা যায়।