পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দামী নতুন টি-সেটটার দিকে চেয়ে মুখতার করে বলে, আমার জন্য আঁীনা হয়েছে বুঝিনি : গঙ্গা বলে, এগুলি কেনা নয়, চরণ ঘোষ আমাকে প্রেজেন্ট দিয়েছে। কলকাতায় খাবার বেঁচে খুব পয়সা কামায়, ভাল ভাল জিনিস খায়। দেশবাড়িতে এসে শাকচচ্চরি খেলেই ওর কলিক হয়। কি দরকার তোর ওসব খাবার ? মাছ-দুধ খেলেই হয়। তা বলে কি, মাঝে মাঝে দু'একদিনের জন্য গায়ে আসি, শাকচচ্চরি না খেলে তৃপ্তি হয় না ! ,' ' গঙ্গা চুপচাপ চা তৈরী করে কাপ এগিয়ে দেয়, তাকে চরণ ঘোষের দামী টি-সেটি উপহার দেওয়ার সঙ্গে তার শাকচচ্চরি খেয়ে কলিক হওয়ার সম্পর্ক কি, এ কাহিনীটা যেন সে বলবে না । ". শুভ ধৈর্য ধরে জিজ্ঞাসু চোখে চেয়ে থাকায় খুশী হয়ে গঙ্গা আবার শুরু করে, দাদা সেদিন কলকাতা গিয়ে ফিরতে পারেনি। মাঝরাতে চরণের ছেলে এসে ডাকাডাকি, চরণ নাকি কলিকের ব্যথায় আছাড়ি-পিছাড়ি করছে। দাদা নেই শুনে বেচারার মুখ শুকিয়ে গেল। এখন উপায় ? বারতলা থেকে ওষুধ আনতে আনতে রাত কাবার হয়ে যাবে। এদিকে চরণ কাটা ছাগলের মত ছটফট করছে। আমি ভেবে-চিন্তে বললাম, দাড়াও, একটা শুধুধ দিচ্ছি। আমার মনে হচ্ছিল, আলমারিতে একটা শিশির গায়ে যেন কলিক টালিকের ওষুধ বলে লেখা আছে পড়েছি। শিশিটা খুজে বার করে বুক ঠুকে খানিকটা পাউডার দিয়ে দিলাম। এমন ভয় হচ্ছিল কি বলব আপনাকে—যদি কিছু খারাপ হয় ! গঙ্গা একটু হাসে। শুভ বলে, সেই ওষুধে সেরে গিয়েছিল তো ? নন্দ বলে, সেরে যাবে না ? একবারে কতটা পাউডার দিয়েছিল জানো ? পাচ ছটা ডোজের কম নয় । . শুভ বলে, তোমার তো সাহস আছে সত্যি ! আপনি তো বলছেন সাহসী-বাড়ি ফিরে দাদার সে কি বকুনি । কলিকে SSW ইতিকথা-৮