পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* দায়িত্ব আর কর্তব্যের কথা ভুলে গেলে চলবে না! : একটু মন খারাপ করেই শুভ মেলা দেখতে বেরিয়ে যায়। ফুলের পিছনের মন্ত ফাকা মাঠ আর আমবাগান ভরে গিয়ে রাস্তা পর্যন্ত ঠেলে এসেছে জমজমাট মেলা। চাষীর কিন্তু এবার যেন আরও বেশী ভিড় হয়েছে মেলায়। কত কি দরকার সংসারে, কেনা যায় না। যদি একটু সন্তায় পাওয়া যায় মেলাতে, যদি চোখকান বুঝে মরিয়া হয়ে কিনে ফেলা যায় জরুরী একটা জিনিসও। কিন্তু মেয়েরা যেন এবার কম এসেছে মেলায়। মেলায় শুভ লক্ষ্মীকে দেখতে পায়। ] লক্ষ্মী কঁাসার বাসন দর করছিল। कि किमछ लयी ? একটা গেলাস দীর করছি। কাসার দামও কোথায় চড়েছে! কঁচের মাস ব্যবহার কর না কেন ? কিম্বা প্ল্যাষ্টিকের ? খুব শাস্তায় পাবে। লক্ষ্মী হেসে বলে, কঁাচের গেলাস ? যেমন শাস্তায় পাব তেমন শাস্তায় যাবে। টং করে ভাঙলেই হল। ভালো কঁাসার একটা জিনিস হলে একজনের জীবন কেটে যাবে। ফেটে যাক ফুটো হোক তবু কঁাষার দামে বিকোবে। শুভ মাথা নেড়ে বলে, যুক্তিটা ঠিক মনে লাগছে না লক্ষ্মী। পাথরের বাসন তো তোমরা কিনছ ? কঁাচ আর চীনা মাটিতে এত অরুচি কেন ? হাত থেকে পড়লে পাথরের জিনিসও ভাঙবে, কঁাচের জিনিসও ভাঙবে । কঁাচের জিনিস বরং বেশী শস্ত । পাথরের জিনিস সহজে ভাঙে না তো । কেন ভাঙে না ? ভারি যে। কঁাচের গেলাস কত হালকা । এত বড় বৈজ্ঞানিক শুভ একটু নির্বোধের মতই তাকিয়ে থাকে। লক্ষ্মী বুঝিয়ে বলে, বুঝলেন না ? ভারি জিনিস হলেই মানুষ সেটা শক্ত, করে ধরে। ও আর ভেবেচিন্তে ধরতে হয় না, আপনা থেকে ধরা হয়ে যায়। “ " ་