পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভ সত্যিই একটু লজ্জা বোধ করে। নিজের বুদ্ধির অভাবের জন্ত নয়, প্রয়োজনও তার হয় না। এদের বাদ দিয়ে দেশ কথাটার মানে হয় না, দেশের স্বাধীনতার বা এগিয়ে যাবারও মানে হয় না-শিক্ষিত সমাজে এই সহজ সত্যটা। থিয়োরিতে স্বীকৃত হয়ে থাকার বদলে সাধারণ বাস্তব উপলব্ধির চারা হয়ে মাথা তুলেছে। অনেক স্বপ্ন আর কল্পনা গুড়ো হয়ে গিয়ে গিয়ে, অনেক ব্যর্থতার জালায় পুড়ে পুড়ে বোধ জন্মাচ্ছে যে এইসব সাধারণ মানুষেরা তাদেরও ভবিষ্যতের জন্য শুধু প্রয়োজনীয় নয়, একেবারেই অপরিহার্য। নিজের, নিজের শ্রেণীর ভবিষ্যৎ স্বার্থ-এই বাস্তববোধিটাই কিনা ভিত্তি সকল আত্মীয়তা বোধের, তাই শুভও স্বাভাবিক মমতা আর আত্মীয়তা-বোধ দিয়েই শ্রদ্ধা অশ্রদ্ধার প্রশ্নটাকে বাতিল করে দিতে পেরেছে। যে কারণে এদের সংকীর্ণ নিঃস্ব জীবন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, শিক্ষাহীন ভেঁাতা। মন-সেই কারণের বিরুদ্ধে যে জালা স্থায়ীভাবে জলছে তার মধ্যে তাতেই অসম্ভব হয়ে গিয়েছে এদের পরের মত হীন ভাবা, অনাত্মীয়ের মত নীচু স্তরের অশ্রদ্ধেয় জীব মনে করা। সে কথা নয়। দেশের মানুষকে আপন মানুষ ভাবতে পারার পর এদের পিছনের অন্ধকারে ঠেলে রাখা, বোকা হাব নোংরা ভাঙা মানুষ আর কুসংস্কারের ডিপো ভাবার জন্য নিজের কাছে লজ্জা পাবার কারণ ঘটে না । দেশের মানুষ যেমন তাকে ঠিক সেরকম জেনে রাখা ভেবে নেওয়ার মধ্যে দোষেরও কিছু নেই, লজ্জা পাওয়ারও কিছু নেই । ༡ ཀྱii6N| জানে বলেই তার বৈজ্ঞানিক মন মাঝে মাঝে তাকে টের পাইয়ে দিচ্ছে যে বিদেশ থেকে ঘুরে এসে কি যেন হয়েছে তার, এসব মানুষকে একটু বেশী রকম পিছিয়ে-পড়া জীব মনে হচ্ছে, যতটা সত্যই তারা নয়। এজন্য অবশ্য অবজ্ঞা নেই, আছে আপসেস। কিন্তু কেন সে নিজের মনে বেশী পিছিয়ে দেবে দেশের মানুষকে, বেশী অন্ধকারের জীব মনে করবে ? বিচার করার তুলনা করার কোন মাপকাঠি সে গড়ে নিয়েছে ? SRGd ইতিকথা-৯