পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীর এই সাধারণ বাস্তব বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতাটুকু তাই তাকে আশ্চর্য করে দিয়েছে, পরীক্ষণে তা তাকে লজ্জিত করেছে নিজের কাছে। ওজন করা হলে কঁাসার গেলাসটার দাম শুনে লক্ষ্মী মুখ ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। নেবে না ? কাল নেব । , শুভ যেন কঁাচের মাসের পক্ষে প্রচারের ভার নিয়েছে। সে আবার বলে, ক-আনা দিয়ে একটা কঁর্লসের মাস কিনেই নাও না। আজ ? দেখই না। ব্যবহার করে। সুবিধেও নিশ্চয় আছে। নইলে এত লোক কিনছে কেন, Jशं क८छ्। 6कञ ? লক্ষ্মী বলে, সুবিধে আছে বৈ কি। যাদের সুবিধে হয় তারা ব্যবহার করছে। আসলে কি জানেন, র্কাসার বাসন কঁাচের বাসন মিশিয়ে তো কাজ চলে না, একরকম রাখতে হয় । শহরে ঘরে ঘরে চা জলখাবারের জন্যে কঁচের গ্লাস কাপ ডিস চলে, ভাত খেতে কঁাসার বাসন । গায়ের গোরস্ত-ঘরে কি ওসব পাট আছে ? কঁাচের গেলাস নিতে বলছেন, পাচটা কঁাসার থালা-গোলাসের সঙ্গে একটা কঁাচের গেলাস মাজতে ধুতে রাখতে বড় ঝঞ্চাট । শুভ খুশি আর উৎসাহিত হয়ে বলে, ঠিক বলেছি, এটাই আসল কথা । আমি উলটো ভাবছিলাম । কি ভাবছিলেন ? ভাবছিলাম, তোমাদের বুঝি সংস্কারে বাধে। মা কঁাচের গ্লাসে জল খায় না। চা খাবে কিন্তু পাথরবাটি চাই। তাই ভাবছিলাম তোমাদেরও বুঝি একই ব্যাপার, শুধু অভ্যাস আর সংস্কারটাই আসল। এখন দেখছি তা তো নয়। মারা বরং সংস্কারে বাধে, তোমাদের হল সুবিধা-অসুবিধার বিচার। আশ্চর্য রকম খুশি মনে হয় শুভকে! একটু খাপছাড়া মনে হলেও শুভর কথাবার্তা খারাপ লাগে না লক্ষ্মীর। তার আন্তরিকতা লক্ষ্মীর অন্তর স্পর্শ করে-ফাক দরদে লক্ষ্মীকে ফাকি দেবার সাধ্য We