পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন মানুষেরই বুঝি আর নেই। আন্তরিকতার ধাঙ্গাবাজিও চিনতে দেয় না। হৃদয়মনের যে বিষম রোগ, অতি কড়া বিষের ডোজে সে রোগ তার প্রায় সেরে গেছে । কঁাসার বাসন কঁচের বাসন থেকে সংস্কারের প্রসঙ্গে এল কথা । কিন্তু শুভ কা সত্যই বুঝেছে তার কথা ? এটাে বাসন হুড়মুড় করে কুড়োতে, ঘাটে নিয়ে গিয়ে মেজে ঘষে ধুয়ে আনতে একটা ঠানকো কঁচের গেলাস, কী যন্ত্রণা দিতে পারে সেটা ধারণা করতে পেরেছে কি শুভ ? কে জানে! তবু, তার সরল সহজ কথা আর ব্যবহারকে মেনে নিয়ে লক্ষ্মীও সহজভাবে খোলা প্রাণে কথা কয় । গরীবের কি বেশী সংস্কার পোষায় ছোটবাবু? হিসেব ছাড়া চলে ? এমনিই দুর্ভোগের অন্ত নেই, সংস্কারের খাতিরে দুর্ভোেগ কখনও আরও বাড়াতে পারে মানুষ ? পারে না ? তুমি কি বলতে চাও চাষীদের মধ্যে কুসংস্কার নেই ? অদৃষ্টের ওপর নির্ভর করে তারা অকারণে বেশী কষ্ট পায় না ? লক্ষ্মী স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। একটু ভংসনার সুরে বলে, আপনারা এত লেখাপড়া শিখেছেন, এমন সোজা কথাটা ধরতে পারেন না কেন ? সব জিনিসের কলের মত মানে করেন কেন ? শুভ ক্ষুব্ধ ও গভীর হয়ে যায়। নন্দও তাকে এই অনুযোগ দিয়ে থাকে। লক্ষ্মী বলে যায়, কুসংস্কার গাদা গাদা আছে, অদৃষ্টও সবাই মানে। না করছে কে ? কিন্তু কুসংস্কারের জন্য অদৃষ্টের খাতিরে চাষাভুষো মানুষ মিছিমিছি কষ্ট পাওয়ায় এ ধারণা কোথেকে আসে আপনাদের ? তাদের রাতদিন শুধু চিন্তা কষ্টটা কি কবে একটু কমানো যায়। কষ্ট কমাবার উপায় পেলে ভগবান অবতার কোন কিছুকে কেয়ার করবে না। আপনি দিন না উপায় করে কষ্ট কমাবার ? দেখবেন, কুসংস্কার অদৃষ্ট এসব কেমন চটপট বাতিল করে দেয়। অ্যাচলের গিট খুলে লক্ষ্মী একটুকরো তামাকপাত মুখে পুরে দেয়। ৪-কষ্টের চেয়ে বড় হবে সংস্কার ! কেন, আপনি কি দ্যাখেন নি গা থেকে চাষী বৌ SWy