পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরে : ঠাহর করে দেখে বুঝতে পারে সামনে অল্প দূরে পা ছড়িয়ে বসে আছে। একটা মানুষ-মনে হয় সেই মানুষটাই। তবু সেইখানে দাড়িয়ে গজেন জিজ্ঞাসা করে, কে ? আমি রে বাবা, আমি !! ভয় নেই, একটু এগিয়ে এস। আপনি ইস্টেশান থেকে এলেন না ? ই, হঁয়, স্টেশন থেকে এলাম। তুমিই আমাকে সন্দেশ খেতে ডেকেছিলে নাকি ? রাগ করিস না বাবা, বড় বিপাকে পড়েছি । গজেন কাছে এসে বলে, আজ্ঞে না, আমি সে নয় । মোর পান বিড়ির দুকান। আপনার হল কি ? ভদ্রলোক বলে, আর হল কি, মন্দ কপালে যা হবার তাই হল, গর্তে পড়ে পা মচকে গেল। ভেঙেছে কি না কপাল জানে। এখন করি কি ? রাস্তার ধারে পড়ে মারা আদেষ্টে ছিল শেষকালে ! গজেন বলে, রাম রাম, মরবেন কেন ! মানষের জগতে মানুষ এমনি করে ময়তে পায় ? একটু ভেবে বলে, হঁটিতে পারবেন না আস্তে আস্তে ? টেনেন্টুনে দেব প-টা ? মোদের পাড়া এই খানিকটা পথ হবে । টেনেন্টুনে দেখেছি, পা পাততে পারি না। এক পা হাটতে গেলে মরে যাব । এখুনি যা যন্ত্রণা হচ্ছে কি বলব বাবা তোমাকে । গজেন উবু হয়ে বসেছিল, উঠে লাঠিতে ভর দিয়ে - দাড়িয়ে সখেদে নিশ্বাস ফেলে বলে, যদি বা একটা মানুষ এলাম, মোর পাটা ফের খোড়া ! ধরে যে নিয়ে যাব পথটা সেটুকু খ্যেমত নেই। খানিক বসেন তা হলে, লোকজন ডেকে আনি । একটু শীগগির করিস বাবা । শীগগির কি চলতে পারি বাৰু ? খানিক এগিয়ে হঁক মারব, কেউ শুনতে श िश्रद्म (डी डालों । গর্তে আচমকা হেঁচট খেয়ে খোড়া একটা মানুষকে আবছা কুয়াশায় পথের