পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীও কি ওদেরি একজন ? এমন ঠেস দিয়ে খোচা দিয়ে বলার। নইলে আর কি মানে হয় যে ওগো বাবু, তুমি কি জানো এদেশে অনেকে সারা জীবন কাটায় সামান্য একটা কঁাসার গেলাস কেনার সাধ না মিটিয়েই ? তোমার কথা বুঝতে পারছি না লক্ষ্মী। এরকম যাদের অবস্থা তারা কঁাসার BBBB u BD S SDD BBDBB BDB DDD S BDBDDYDD BBDB DDD ভঁাড় তো পাওয়া যায় ? কঁাসার গেলাস আর মাটির ভাড় । মাটির ভঁড় তৈরী করা দেখেছেন ? বনবন। চাকা ঘুরছে, জল-ভেজানো হাতে যেন চোখের পলকে একটা কঁচা ভঁড় তৈরী হয়ে যাচ্ছে। সুতো দিয়ে তলাটা কেটে নামিয়ে রাখছে। মিনিটে একটা করে ভঁাড় তো বটেই। তবু ওদের দৈনিক রোজগার কত জানেন ? ‘রোজ একজন চারশো থেকে পাচশো ভঁাড় বানায় । নিজের ঘরে নিজের যন্ত্র নিজের জিনিস নিজের মেহনত দিয়ে বানায়। তবু কলে যারা খাটে তাদের মতই রোজ তাদের বেশী হলে টাকা দুই রোজগার হয়। শুভ খানিকক্ষণ চুপ করে থাকে। বাসনের দোকানী ভাবে, ছোটবাবু ফ্যাসাদে পড়েছে। এই ছুড়িটাকে নিয়ে ফাতি করবেন না। অন্য কাউকে পছন্দ করবেন ঠাহর হচ্ছে না ! শুভ একটা সিগারেট ধরায় । দামী গন্ধওলা সিগারেট । বলে, রাগ কোরো না। তুমি সত্যি চাষীর মেয়ে চাষীর বৌ নও। লক্ষ্মী মুচকে হেসে বলে, আমি তবে আকাশ থেকে নেমে আসা কেউ ? বাসন নিয়ে শুভর বাড়াবাড়ি সেদিন বড়ই অদ্ভুত মনে হয়েছিল লক্ষ্মীর ! কি চিন্তা রূপ নিচ্ছে শুভর মাথায় সেটা ধারণা করা সম্ভব ছিল না তার পক্ষে । পরে নবশিল্প মন্দিরে বাসনের কারখানা স্থাপনের তোড়জোড় শুরু হলে ব্যাপারটা খানিক স্বচ্ছ হয়েছিল তার কাছে। একটু শঙ্কার সঙ্গে তাকে ভাবতেও হয়েছিল যে তার কথার উপর নির্ভর করে, সংসারে বাসনকোসনের স্থানকে সে অনেক তুলে ধরেছিল বলে, শুভ তো এ মতলব করেনি ? বাসনের পক্ষে তার গাউনি শুনে বাসন সৃষ্টি করার জন্য তার এ চেষ্টা ব্যর্থ . Sv)