পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'টিনের ল্যাম্প আর সুটকেশ বেচা কটা টাকা পেয়ে জগদীশ খুশি হয়, মোটা, লাভ আসবে তার এই কারখানা থেকে । ጊዮ

  • নন্দকে সে বলে, চুপচাপ বসে থাকিব ? জল্পনা কল্পনা সম্বল করে ? তার চেয়ে এটাতেই হাত লগালাম আপাতত। নতুন প্ল্যান ঠিক করি ততদিনে। ] এর নাম উৎসাহ, একে বলে কর্মপ্রচেষ্টা। তবু কেমন একটা হতাশা জাগে তার কথা শুনলে। বড় কিছু করা যাচ্ছে না হাজার ইচ্ছা নিয়েও, সুতরাং চুপচাপ বসে না থেকে যা হোক কিছু করা যাক, দমে না যাবার প্রমাণ হলেও, কথাটা যেন দমিয়ে দেয় !

শুধু নন্দ নয়, লক্ষ্মীও তাই বলে। বাসন সম্পর্কে শুভর কৌতুহলের কারণ বুঝতে পেরেছে কিন্তু মনটা তার খারাপ হয়ে গেছে শুভকে বাসনের কারখানা, নিয়ে মাততে দেখে- সে দু-দিনের জন্যে মেতেছে জেনেও । কৈলাস বলে, তা হবে না ? আসল কাজ গোড়ায় যেমন তেমন শুরু করলেও মনে ফুতি লাগে । এটা হল একদম অন্য কাজ, অকাজ । কিন্তু আসল কাজটা কি ? শুভর কাছে কোন বড় কাজ আসলে তারা প্রত্যাশা করছিল যার গোড়া পত্তন হিসাবে বাসনের কারখানাটা গড়ে উঠছে না, বলে তাদের খারাপ লাগছে ? না, শুভর কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনার খবর তারা জানে না । কিন্তু প্রত্যাশা তার করে । এটাই ক্রমে ক্রমে স্পষ্ট হয় তাদের কাছে । শুভ মহাসমারোহে বাসনের কারখানা গড়ার কাজে লেগে যাওয়ায় তাদের হতাশা জাগার মানেটা, ধরা যায়। শুভ কি করবে না জানলেও তারা আশা করেছে যে সে এমন কিছু করবে যা থেকে দেশ ও দশের স্বার্থ বাদ পড়বে না । শুভ টাকার কথা ভাববে না, তার অর্থাগম হবে না, এ কথা তারা ভাবেনি । কিন্তু শুধু লাভের জন্য সে ব্যবসা করবে, তার নিজের লাভ ছাড়া আর কোন মানেই থাকবে না। তার কর্মপ্রচেষ্টার, এটাই তারা আশা করতে পারেনি শুভার কাছে । SSS