পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল। আবার গভীর ক্ষোভের সঙ্গে তাকে ভাবতে হয় যে, হায়, শুধু জমিদারের ছেলে বলেই ছোটবাবু সে এদের কাছে অমানুষ, এখন পর্যন্ত অমানুষিক কিছুই ষে সে করেনি সেটা গণ্যই নয়। একথাও তাকে ভাবতে হয় কী সুলভ এদের জীবনে কারণে অকারণে ধানাগুলিসের ঝাঁট! চিরকাল দাপট সয়ে সয়ে কী ভীরু আর নিরীহ হয়ে গেছে গায়ের মানুষ, দিবাস্ত্রাত্রি সশঙ্কিত। ক্ষমতাবান একটা মানুষ ভালভাবে নাম ঠিকানা চাইলে পর্যন্ত আতঙ্ক জাগে, ভয়ে যেন কাদা হয়ে যায়। কী আপসোসের কথা ! অতি নিরীহ মানুষের বিনয় করার ভঙ্গিতে ভয়ে ভয়ে সুখনের কথা বলার পিছনে যে সত্যিকারের ভীরুতা নেই জানলে শুভ আরও কতটা দমে যেত কে छiन्म ! ভয়ের বাস্তব কারণকে এ জগতে ভয় কবে না কে ? ভয় পাওয়া আর ভীরুতা এক নয় ! এরকম নম্রতা আর ভীরুতার ভান যে ওদের বাস্তব জীবনে হাঙ্গামা এড়িয়ে চলার বাস্তব কৌশল, সেটা তলিয়ে বুঝবার সাধ্য শুভর ছিল না। কারণ, তাহলে সত্যসত্যই জমিদারের ছেলে ছোটবাবু সে যে এদের কাছে কতখানি খেয়ালী আর আক্রোশী মানুষ, স্বার্থপর নিষ্ঠুর মানুষ, সেটাও ভালভাবে উপলব্ধি করা দরকার হয়। সেইজন্যই বিনয় ! উন্মাদ ছাড়া কে ঝগড়া করতে যাবে। বাঘের সঙ্গে, অসময়ে এবং অকারণে ? খালি হাতে বাঘের সামনে পড়লে পিছু হটে পালিয়ে গিয়ে বাঘকে থাবা মারার সুযোগ না দেওয়াকে কাপুরুষতা ভেবে লজ্জা পাবে ? "ན তার পরিকল্পনা বুঝিয়ে বলাব চেষ্টা করার পরেও সুখনরা তাকে খুব ভালমানুষ ভেবে বসে না। বাঘটাকে এবার তারা একটু খাপছাড়া উদ্ভট বাঘ, বলে চিনতে পারে। এ বাঘ ভালো করার নামে সহৃদয়ভাবে ঘাড় মটকায় ! গোষ্ঠ আবার কথা বলে । S 88