পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেশী বাসন তৈরী হবে, লোকে শাস্তায় বাসন পাবে, কতগুলি লোকের কাজ জুটবে, এসব কিছুই নয় তোমার কাছে। তার রাগ দেখে নন্দ হাসে।-চটছ কেন ? আমরা তর্ক করছি বৈ তো নয়। বেশী বাসন তৈরি হবে ? তোমার কারখানায় হয়তো হবে-সুখনদের এক একজনের তুলনায়! মোট বাসন বাড়বে না। তুমি যত বাড়াবে, সুখনদের তত কমবে। লোকের বাসন কেনার ক্ষমতােটা আগে বাড়িয়ে নাও, তারপর বেশী বাসন তৈরী করে দেশের সম্পদ বাড়িও । "শুভ গুম খেয়েই থাকে । নন্দ বলে, বেকারকে খেটে খাওয়ার সুযোগ দেবে ? তুমি তা হয়তো কয়েকজনকে দেবে, সুখনরা কারবার গুটিয়ে নিলে ওদিকে কয়েকজন বেকার হবে। শাস্তায় বাসন দেবে ? ক’ত শাস্তায় ? পিতল-কঁাসার দর তো নামবে না। তোমার জন্য । সোনার গয়নার মত বাসন ওজন দরে বিক্রি হয় । গয়নার মজুরি ধরা হয় ভিন্ন করে, বাসনের দরেই ওটা কষা থাকে। সুখনরা ভাগে ভাগে কম বাসন বানায়, তুমি এক জায়গায় বেশী করে বানাবে। কিন্তু সুখনদের অন্য সুবিধে আছে, ওরা নিজেবাও কারিগর, নিজেরাই সব দেখাশোনা করে, হিসাব রাখে। তোমাকে এসবের জন্য লোক রাখতে হবে। কত আর কম। দামে তুমি বাসন ছাড়তে পারবে বাজারে ? শুভর মুখের গুমোট এবার কেটে যায়। সে অমায়িকভাবে বলে, সাধে কি বলি গেয়ে বুদ্ধি ! আমার প্ল্যানটাই তোমার মাথায় ঢোকেনি। আমি কি কচি খোকা যে ওসব হিসেব না করে, কষ্টিং না। কযে, একটা কারখানা গড়ছি ? বাসন কেনাবেচার এই সিস্টেমটাই আমি পাল্টে দেব। বাসন শখের জিনিস নয়, বাসন ছাড়া সংসার চলে না । এটার ওপরেই আমি জোর দিচ্ছি। পিতল কঁাসার দর ঠিক থাকবে, লোকের পয়সাও আমি বাড়াতে পারব না জানি। কিন্তু বাসন কেনাতে পারব । মন্ত্রবলে ? কম-দামী বাসন বানিয়ে । S 0.