পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দ অসহিষ্ণু হয়ে বলে, এইমাত্র বললাম না বাসনের দাম তেমন কিছু কম করা যাবে না ? শুভ শান্তভাবেই বলে, করা যাবে। সায়ন্টিফিক মেথডে আমার বাসন তৈরী হবে, তুমি সেটা ভুলে যাচ্ছি। সুখনরা পারে না, আমি পারব। ধর, অ্যাভারেজ সাইজের একটা কঁাসার গ্লাস। টেকসই গ্লাস করতে সুখনদের যতটা বঁটাসা লাগে, আমার তার চেয়ে অন্তত ওয়ান-থার্ড কম লাগবে । তাছাড়া শস্ত ধাতু মেশাল দিয়ে শস্ত মজবুত বাসন হবে। स्s: । उांशे तन्न । নন্দ খানিকক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে বলে, ভুলে যাচ্ছিলাম তুই সন্য সদ্য বৈজ্ঞানিক হয়েছিাস, বাসনও এখন পর্যন্ত বানাতে শুরু করিাসনি । এ কথা বলছিস কোন ? এতক্ষণ তুমি-তুমি কথা হচ্ছিল, নন্দ যে হঠাৎ তুই বলেছে এটা খেয়াল না। করেই শুভ ও তুই-এ নেমে আসে। এরকম মাঝে মাঝে ঘটে তাদের মধ্যে। নন্দ বলে, ঘর চিনিস না, ঘরোয়া জিনিস বাসনের ব্যাপারটাও ধরতে পারছিস না। একটা কথা লিখে রাখবি ? ওসব কোন সায়ন্টিফিক কৌশল বাসনের বেলা খাটবে না। সায়ান্টফিক মেথডে আরও ভালো বাসন বানাতে পারিস, প্ল্যাষ্টিকের বাসনে বাজার ছেয়ে ফেলতে পারিস-কম কঁাসা শস্ত ধাতু এসব কোন নতুন কৌশল চলবে না। এতকালে ওসব ঠিক হয়ে যায়নি ভাবিস ? মানুষ কি হাদা ? কত কম কঁাসায় টেকসই বাসন হয়, মেশান ধাতুর বাসন কেমন হয়, সব জানা হয়ে গেছে। বাসন মাজতে হয়, ঘষতে হয়। যতটা পাতলা চলে তার চেয়ে কম কঁাসার পাতলা গ্লাস তোর কেউ কিনবে না। কলাই করা গেলাস-টেলান্স কিমবে, নয়। মাটির ভঁাড়ে জল খাবে। গয়নার বেলাও এই নিয়ম। যে কিনবে সে যতটা কম সোনায় টেকসই গয়না হয় ততটা সোনার গয়নাই কিনবে, যে তা কিনবে না। সে একেবারেই কিনবে না । আকাশে রাত্রির ছায়া রূপ নিতে শুরু করেছে। কাছে ও দূরে শাক বাজতে S6S