পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলে। রাস্তার কথাই বলে রসিক। সাধে কি গতে পা পড়েছে ভদ্রলোকের, সারা রাস্তায় শুধু গর্তের ফান্দ পাতা। কারো মাথা ব্যথা নেই রাস্তাটার জন্য। অমান পয়সাওলা জমিদার বারতলার, তার গ্রামের নামে স্টেশনের নাম, কারখানা তুলতে অত টাকা নষ্ট করতে পারে, রাস্তাটা ঠিক করার দিকে নজর নেই। গর্তে পড়ে মোদের নয় ঠ্যাং মাচকাল একবার দুবার। দামী গাড়ির চাকা ভাঙবে কারি ? কথা বলতে বলতে বিরক্ত হয়ে রসিক ঝোঁঝে ওঠে, লেণ্টানটা আন না বাবা কেউ ? একটু চুন হলুদ করতে যে রাত কাবার হল। মেয়েলি গলায় জবাব শোনা যায়, লেণ্টান নিয়ে গেছে । পিদিম জ্বালালে श्ध्र । রসিক বলে, হয় তো জাল না কেনে পিদিম একটা ছোট বৌ ? মেয়েলী গলায় তেমনি ফিস ফিস আওয়াজে দৃঢ় স্পষ্ট জবাব আসে, বলে দিলেই পিদিম জলে । কে এল না কে এল, আলো জালিবে না আঁধার রাইবে জানবো কিসে ? মোটা সলতের বড় প্রদীপ জ্বলে উঠে দাওয়ার অন্ধকার দূর করে। শাখা পরা হাত তিলচিােট ভাঙা কাসার গ্লাসটা আগন্তুকের সামনে উপুড় করে রেখে তার উপর। প্রদীপটা বসিয়ে দেয়, আঙ্গুল দিয়ে উসকে দেয়। সলতে । রসিক এক মুহুর্ত হঁা করে চেয়ে থেকে নিজের দুই কান মলে ফোকলা মুখে একগাল হেসে বলে, হা রে আমার পোড়া কপাল, আপনি জীবনবাবু! এতক্ষণ কথা কইলাম, গলা শুনে চিনলাম না ? আরে ও গজেন, তুইও চোখের মাথা খেয়েচিস, জীবনবাবুকে চিনলি না ? গজেন সোজা তাকিয়ে থাকে দাওয়ার বাইরের অন্ধকারের দিকে। গুলিতে পঙ্গু পায়ে হাত বুলাতে বুলাতে রুক্ষ কঠোর সুরে বলে, না, চিনলাম আর কই ? চিনি চিনি করেণ্ড তো চিনলাম না। চিনলে কি আর খোড়া পা নিয়ে উঠিপড়ি খবর দিতে ছুটে আসতাম ? যেথায় থাকা উচিত ছিল সেথায় পড়ে রইত তোমার জীবনবাবু। Sg