পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার স্বামী নয় ? তা আশ্চর্য কিছুই নয়। দাঙ্গায় স্বামী মরার সাতদিন পরে সনাতনের ঘাড়ে নিজের দায় চাপাতে হয়েছিল। পেটের বাচ্চাটা কার তাও সে জানে না। ভাবতে গেলেই মনে হয় ছেলে হােক মেয়ে হােক সংসারে কি দশা। দাড়াবে তার কে জানে ? ভাবতে গিয়ে অনির্দিষ্ট আশঙ্কায় গা যেন ছমছম করে তার । কারিগর নিয়ে চিন্তায় পড়েছিল শুভ। সুখনদের কারিগর ... ভাঙিয়ে আনা ছাড়া উপায় নেই এই ছিল তার ধারণা । সুখিনরা পরামর্শ করে। প্রাণপণে চেষ্টা শুরু করেছিল, বাসনের কাজ জানে এমন একটি লোকও যাতে শুভর কারখানার কাজ না নেয়। শাসানো হয়েছিল নানাভাবে। কিন্তু যে বাজার ! ভাতকাপড় জোটে না লোকের, বাসন কেনে কজন ? বাসনের কাজ জানে এমন কত লোক যে বসে ছিল বেকার হয়ে, শাসন দিয়ে কি আর তাদের ঠেকিয়ে রাখা যায় ? পাকা কারিগর পর্যন্ত কাজের জন্য যেচে এসে আশ্চর্য করে দিয়েছে শুভকে । আশেপাশের শহর আর কলকাতা শহর থেকে কারখানা দেখতে আসে আত্মীয়বন্ধু-শুভার খেয়ালের কারখানা ! বাসনের শিল্পে যুগান্তর সৃষ্টি করবে: শুভ, বাসন ব্যবহারের ফ্যাশন দেবে পাণ্টে । আত্মীয়বন্ধু ছাড়া অন্য লোক ও আসে। ব্যবসায়ী এজেণ্ট, দাওবাজ, চাকুরি প্রার্থী। এরা শুভর মন থেকে খানিকটা মুছে দেয় চারিদিকে বিশেষ সাড়া না। জাগার ক্ষোভ । খোড়া গজেনের জন্য লক্ষ্মীকে দিনে অন্তত একবার দোকানে হাজিরা দিতেঙ্গ হয়--রাত্রে গজেন ঘরে ফিরে যায়, দুপুরের ভাতটা লক্ষ্মী দোকানে দিয়ে আসে। শুভ একদিন তাকে বিশেষভাবে বলে, রোজ একবার কারখানায় ঘুরে যেও । তোমার সঙ্গে পরামর্শ আছে। তোমার পছন্দ অপছন্দটা আমি কাজে লাগাব। মাইনে দিতে হবে। কিন্তু ! তুমি তামাসা করলে-আমি সত্যি মাইনের কথা ভাবছিলাম! >諡饮