পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুমা, বলেন কি ! , দুদণ্ড কথা বলার জন্য মাইনে নেৰ কিরকম ? ? ר শুভ শান্তভাবে বলে, এমনি কথা বলা থাকছে না তো এখন, আমার কাজের জন্য তোমাকে দরকার হচ্ছে। উকিল ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিলে পয়সা দিতে হয়—তোমায় দেব না কেন ? অপমান বোধ করা উচিত কিনা বুঝতে না পেরে লক্ষ্মী বিব্রতভাবে বলে, ওদের কথা আলাদা। আমি মুখু মেয়েমানুষ শুভ বলে, এইজন্য হঠাৎ তোমায় বলতে ভরসা পাইনি। তুমি হয়তো চটেই যাবে ; মন দিয়ে আমার কথাটা শোন । কারখানার কাজের জন্যই তোমার মত গোরস্ত ঘরের একজনকে আমার দরকার । সাধারণ গোরান্ত ঘরের পছন্দ অপছন্দ ঠিকমত যাচাই করা খুব বড় ব্যাপার। আমার কাছে। ধর, কতরকমের তো বাসন আছে, আমি কি জানি কোনটা না হলেই চলে না, কোনটা তার চেয়ে একটু কম দরকার, কোনটা না হলেও চলে ? অনেক বাসন আছে, কি কাজে লাগে। তাই জানি না ; আরও কত বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই। এমনি গেলাসেই জল খাওয়া চলে, আফফোরা কেন তৈরী হল ? শুধু গেলাসের রকমারি হিসেবে না বিশেষ সুবিধে কিছু আছে ? আমি এটা ভেবে পাই না । কারণ, গোরস্ত ঘরে গেলাস আর আফফোরার ব্যবহার আমি দেখি নি। তুমি হয়তো আমায় বুঝিয়ে দিতে পারবে। লক্ষ্মী খুশী হয়ে বলেছিল, তা পারি। এমনি গেলাসের তলা থেকে ওপর পর্যন্ত সিধে, আফফোরার উপরের দিকটা বাইরের দিকে বেঁকে একটু ছেদরানো দেখেছেন তো ? ওতে দুরকম সুবিধে । গেলাস পাশ থেকে ধরতে সুবিধে কিন্তু ওপর থেকে আঙ্গুলে ঝুলিয়ে ধরতে আফফোরায় সুবিধে বেশী। তাছাড়া, চুমুক না দিয়ে উচু থেকে মুখে জল ঢেলে খেতে গেলাসের চেয়ে আফফোরায় ভাল। মুখে না ঠেকিয়ে জল খেলে বার বার ধুতে হয় না। শুভ উৎসাহিত হয়ে বলেছিল, দেখলে তো, কত কিছু জানিবার বুঝবার জন্য তোমাকে আমার দরকার ? শুধু তাই নয়। আমি নতুন ধরনের বাসন বানাব ভাবছি। নমুনা দেখে তুমি আমায় বলতে পারবেগেরস্তাঘরে পছন্দ করবে কি না। > @心