পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটু থেমে মুর পালটে বলেছিল, কাজেই বুঝতে পারছি, হঠাৎ দেখা হল, খানিকক্ষণ কথা বললাম, তাতে আমার কাজ চলবে না । তোমায় নিয়মমত কারখানায় আসতে হবে, দুতিন ঘণ্টা থাকতে হবে। তার মানেই চাকরি। চাকরি করে মাইনে নেবে না কেন ? লক্ষ্মী বলেছিল, কাল বলব। কৈলাস সব শুনে বলেছিল, নিশ্চয়, রোজ যেতে হলে মাইনে নেবে বৈকি ? তারপর হেসে বলেছিল, দেখো, আবার অন্য চাকরি না করিয়ে ছাড়ে । সে রাজী হওয়ায় শুভ সুখী হয়ে বলেছিল, এই তো চাই । তোমার নাম লক্ষ্মী, তুমি এটুকু লক্ষ্মী মেয়ে না হলে দেশের কি উপায় হবে ? তারপর হেসে বলেছিল, তোমার যখন স্পেশালিস্টের কাজ, তোমার কাজের টাইম বেঁধে দেব না । কোনদিন এক ঘণ্টা কোনদিন দুঘণ্টা-দরকার হলে ঘণ্টা তিনেক। যেদিন যেমন দরকার হবে। কিন্তু একটা নিদিষ্ট টাইমে তোমায় আসতে হবে। বাবার জন্য কটায়। ভাত নিয়ে আসে ? ঠিক আছে কি ? কোনদিন বারটা, কোনদিন একটা । কি করে জানলে ? তোমাদের তো ঘড়ি নেই ! থানায় পেটা ঘড়ি বাজে না ? শুভর মনে খুব আনন্দ। সে যেন অসাধ্যসাধন করেছে, লক্ষ্মীকে সমস্ত সংস্কার কাটিয়ে মাইনে নিয়ে তার কারখানায় চাকরি করতে রাজী করিয়েছে। যেমন সে কৃতজ্ঞ লক্ষ্মীর কাছে, তেমনি গাবিত । বলে, ভাবছিলাম তোমায় একটা ঘড়ি প্রেজেণ্ট দেব । ভেবে দেখলাম, এখন সেটা ঠিক হবে না। লোকে নানা কথা বলবে। এখন দিলে সেটা আমার দেওয়া হবে। কিনা । কাজ আরম্ভ হোক, তারপর কারখানার পক্ষ থেকে কাজের সুবিধার জন্য তোমায় ঘড়ি দেওয়া হলে কেউ কিছু বলতে পারবে না । লক্ষ্মী সহজভাবেই বলেছিল, ঘড়ি দেননি বলেই লোকে কিছু বলছে না। cडcबश्न भांकि ? শুভ যেন চমকে উঠেছিল, ভড়কে গিয়েছিল। 〉 2今