পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাকে দেখে খুশি হয়ে শুভ বলে, এস, এস। তুমি ষে হঠাৎ ? ? তার খুশিকে অগ্রাহ করে মায়া মুখের ভাব আর গলার সুরে যতটা পারে রাগ দেখিয়ে বলে, বাবা এসেছে, মা এসেছে, আমার বন্ধুরা এসেছে, আমাদের আধঘণ্টা গেটের বাইরে দাড় করিয়ে রেখেছ কেন ? আমি জানতে পারিনি। কখন শ্লিপ পাঠিয়েছি দারোয়ানকে দিয়ে । তখন হাতের শ্লিপটার কথা খেয়াল হয়। শুভর। লজ্জিত হয়ে বলে, ইস, ভারি অন্যায় হয়ে গেছে। তুমি বোস মায়া, আমি নিজে গিয়ে সকলকে নিয়ে আসছি। থাক। আর আদরে কাজে নেই। আমরা কেউ তোমার কারখানায় ঢুকব না । বলে মায়া আপিস-ঘর থেকে বেরিয়ে যায় । সুতরাং, শুভকেই গিয়ে তার সঙ্গ ধরতে হয়। চলতে চলতে মায়া বলে, তোমার এতদূর উন্নতি হয়েছে? কারখানার একটা কুলি মাগীকে চেয়ারে বসিয়ে হাসিগল্প চালাও ? শুভ বলে, ছি, মানুষকে এত অশ্রদ্ধা কোরো না মায়া । ও কারখানায় চাকরি করে। কিন্তু গায়ের গৃহস্থ ঘরের মেয়ে। গায়ের গৃহস্থ ঘরের মেয়েকে তুমি পেলে কোথায় ? আমার সঙ্গে আলাপ হয়েছিলআলাপ ! এদের সঙ্গে ও তোমার আলাপ হয় ? শুভ ক্ষুব্ধ হয়ে বলে, তোমার কী হয়েছে বল তো ? তুমি তো এরকম ছিলে না ? বাড়ির বিকে অপমান করলে তুমি কাকীমার সঙ্গে ঝগড়া করা পিছন থেকে লক্ষ্মী বলে, বিকে চেয়ারে বসিয়ে কেউ তো তার সঙ্গে হাসিগল্প করে না ছোটবাবু ? কিছু মনে কোরো না লক্ষ্মী। না। এর রাগ হয়েছে কেন বুঝতে পারছেন না ? আমার সঙ্গে আপনার ভাব হয়নি, আপনার এখন বাসনময় প্রাণ বলে বাসনের কথা কইতে জগৎসংসার SVY ইতিকথা-১১