পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খােরাক কম পড়েছে আরো, দেহের শক্তিতে ষে কত ভাঁটা পড়েছে, সে তো টের পাওয়া যায় স্পষ্টই, এখান পর্যন্ত হাঁটতেই কষ্ট বোধ হয়েছে রীতিমত। দেহে তেজ নেই, শীতের গোড়ার দিকেই তাই ঠাণ্ড মনে হচ্ছে বেশী । রামপুর থেকে আসছিল গুড়ের ব্যাপারী ইনাবালি, রোগী লম্বা চেহারা, দেড় আঙ্গুল নুর, গায়ে আধময়লা কোরা মার্কিনের হাতকাটা সার্ট, কঁধে, পুটলি-বাধা গামছা।’ তার সঙ্গে চেনা ছিল কৈলাসের। যুদ্ধের পর হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার দিনে শুধু এই ইনাবালির চেষ্টায় রামপুরে বড় হাঙ্গামা বাধাবার সমস্ত উস্কানি ব্যর্থ BB DDBSS DDBD D DD BBDBD DBBDBD BBDDDSS DDDBDB uBBD করত সকলেই। ডাক দিয়ে ইনাবালিকে বঁাশের বেঞ্চে বসিয়ে দুএকটা কথা বলতে বলতেই কৈলাস টের পায় মানুষটার সহজ স্বাভাবিক রসকস প্রায় শুকিয়ে গেছে। কেমন একটু চিন্তিত সচকিত ভাব। রসিকতা আজও করে কিন্তু সেটা কৃত্রিম মনে হয়। রসিকতা করেই বলে, চা মিলবে তো কুণ্ডু বাৰু? আমি কিন্তু বাবা একদম খাটি মোসলা । চা বানাতে বানাতে কুণ্ডু বলে, না মিলবে না ; পাকিস্তানে যান। কৈলাস আলাপ করে ইনাবালির সঙ্গে। রামপুরের খবর ? আর রামপুর, হাঙ্গামা লেগেই আছে রামপুরে। বার বার খালি বন্দুকধারী পুলিস এসে আস্তানা গাড়ছে সেখানে, একেবারে তছনছ করে দিচ্ছে মানুষের জীবন। প্রতাপদীঘি বিলের জেলেরা জালের খাজনা, মাছের আবোয়াব ভাগ আদায়, ওজনে চুরি, কম দর এ সব নিয়ে গোলমাল করেছিল। তার উপর মদনের চোরাই চালানের চাল আটক করে কণ্টোলের দরে সকলকে বেচে দেওয়া নিয়ে বেধেছিল আর একটা হাঙ্গামা । প্রথমে সমিতির ভলানটিয়াররা চাল আটক করে, মদনের লোকজন আর থানার পুলিস এসে তাদের মারতে আবন্ত করতে ছুটে আসে সবাই, জেলেরা পর্যন্ত । সেইখানে সবার সামনে ওজন করে নগদ দামে চাল বেচে টাকা দেওয়া হয় মদনের লোককে। " "