পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিনাক বলে, ঠিক কথা, ভগতের ঘাটা নেই বটুকের। তবু ব্যাটার বৌটাকে না খেতে দিয়ে ঘর ছাড়ালে। তামুক ছাড়া জমে না।-আরেক বার আপসোস করে লোচন। নাতির মরণে সে যেন তেমন কাতর নয়, তামাকের জন্য আপসোসটা বেশী । বিশেষ করে রাজেন দাস আজ যেচে এসে তার দাওয়ায় বসেছে বলে। মাননীয় ব্যক্তির পদার্পণে ধন্য হয়ে তাকে খাতির করার সাধ মেটানো গেল না বলে নয়, যে ছিল পরম শত্রু সে আজ বাড়িতে এসেছে বলে । সাপ-বেজীর সম্পর্ক ছিল তাদের অনেক কাল। রাজেনের বোন সুখদ ছেলেপিলে নিয়ে আজ সাত বছর ঘর। করেছে শিয়াপোলের অনন্তের, তাকে ঘনরাম বিয়ে করেনি কথাবার্তা পাকা হবার পর-এই ছিল ঘটনা। ঘাটের পথে সঁাঝের বেলা একলা সুখদাকে নিমাই ছোড়ার সাথে কথা কইতে দেখেছিল, হেসে হাত নেড়ে কথা কইতে দেখেছিল ঘনরাম নিজের চােখে-এই ছিল কারণ। কথা সে-ই কইতে দিয়েছিল নিজে, দুটো মিষ্টি মিষ্টি প্রাণের কথা আর বলা হয়নি প্রাণের জালায় । খটকা একটা এমনিই ছিল ঘনরামের মনে যে তার সাথে লুকিয়ে ভাব করতে পারে যে মেয়েটা সে কি আর অন্যের সাথে পারে না ? এ ক্ষেত্রে অবশ্য ভাবটা হয়েছে তারই সাথে, কিন্তু কথা হল, স্বভাব ভাল যে মেয়ের সে তো এ রকম ভাব-সাবের ব্যাপার করে না কারো সাথেই ! যে খুতখুতোনি মনে ছিল সেটা প্রত্যয় হল হেসে হেসে নিমাই-এর সাথে হাত নেড়ে কথা বলা দেখে, বঁাশ-ঝাড় গাছপালায় ঘেরা যে নির্জন স্থানটিতে শুধু তারই সাথে কথা বলার কথা ছিল সুখদার! ছেলের কথায় বিয়ে তাই ভেঙ্গে দিল লোচন, নিজে যেচে বরণ করা যন্ত্রণায় ঘনরামও দিশেহারা হয়ে রটিয়েও দিল মেয়েটার নামে মনগড়া কলঙ্ক । তারপর ঘটনা রটন গালাগালি হাতাহাতি পুরানো হয়ে তলিয়ে গুেল অতীতে, জিদ বজায় রইল মুখ-দেখাদিখি বন্ধ রাখার, শক্রতা করার। বিয়াল্লিশ সালে দেশজুড়ে ব্যাপার হল একটা । বন্দুক উচিয়ে সৈন্য-পুলিস এসে অন্য কটা ঘর-বাড়ির সাথে পুড়িয়ে দিল রাজেনের বাড়ি, আর এমনি মজার যোগাযোগ আদেষ্টের যে, দুকেশ তফাতে কেঁদ গায়ে লোচনের মামা s७v