পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলেই। সবার মনের কথা কে আগে তুলবে, কি ভাবে তুলবে তাও জানু। নেই কারো। বেশী উৎসুক এনতার, কেবলি উস্থুল করছে আর বুড়ে। আঙ্গুন্থের নখ দিয়ে চুলকিয়ে চলেছে ঘন রুক্ষ্ম দাড়ি-ঢাকা চিবুক। " খাবি না মোহন ? এসে শুধিয়ে যায় ঘনরামের পিসী সুখতারা। শ্বশুরের মামলায় যাচ্ছে গায়ের গয়না, সোনার কাঁটার পর পায়ের রুপোর । মল পর্যন্ত, কোলের ছেলেটা মরে গেল বিনা চিকিৎসায়। শ্বশুর আর স্বামীর অবহেলায়। দয়া তাই নিজের ন বছরের বড় ছেলে মোহনের দিকে ফিরেও তাকায় না। মরে তো। ওটাও মরুক, দায় চুকে যাক দয়ার। 현 히 CF | ețe of একটা লণ্ঠন চলে যায় বড়তলার সড়ক দিয়ে ; ঝকঝকে নতুন লণ্ঠন, সযত্নে কাটা পলতের উজ্জল তেজী শিখা। কনেস্টবল শশী পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে দারোগ মৃণালবাবুকে । হঠাৎ তীক্ষ্ম আর্ত কেঁউ কেঁউ চীৎকারে বাতাস চিরতে চিরাতে পথ ছেড়ে ছুটে পালায় রসিকের বাড়ির কুকুরটা। কে জানে দারোগ বাবুর চলার রাস্তায় পুটি কি খুজিছিল বাড়ির চলার কোণে এক গণ্ডা বাচ্চা ফেলে রেখে । ও হ্যা, ঠিক কথা, কাল মৃণালের মেয়ের বিয়ে কলকাতায়। লোকজন। গাড়িটাড়ি সব গিয়েছে রামপুবে । একজন কনেস্টবলকে নিয়ে হেঁটে তাই তাকে স্টেশনে যেতে হচ্ছে ট্রেন ধরতে । লুকিয়ে যাচ্ছে, ছুটি চুরি করে! : রামপুরে অমন হাঙ্গামা, মেয়ের বিয়ে বলেই কি তার ছুটি জোটে ? কৈলাসের ব্যাখ্যা সবাই মেনে নেয় । পুলিসের দারোগার আবার যে সামাজিক-ভাবে মেয়েটোয়ের বিয়েও হয় এটা তারা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল! বলি কি-রাজেন দাস হাই তুলে বলে, উপায় একটা না হলে তো নয়। সব দিকে মরার যোগাড় । অ্যাদিনে জানলে সেটা ? তিন্তে বলে-খোচা দিয়ে। S. o.