পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না ফি বছর, তা ভাত-কাপড় কি বন্ধ রাখিস মাগের? না কুজা জেলেনীর পিছে যা খরচ করিস তার সুন্দ কষিস ? খিলখিল করে হেসে উঠে। অপ্রস্তুত হয়ে থমকে যায় অল্পবয়সী কিশোরমোহন। ভূষণ মুখ ভার করে তাকায়। যেন এই এক সালতে পিন্দিমের মৃদু। আলোয় কেউ তার মুখের ভাব দেখতে পাবে। অন্যেরা বিরক্ত হয় না, তবে বুঝেও উঠতে পারে না রাজেনের কথায় এমন কি রসিকতা আছে। রাজেন স্পষ্ট করে জমাট করে প্রকাশ করেছে সবার মনের এলোমেলো অশান্ত খেদ । এ তো সত্যি কথাই যে ধারণী যেন লাটবেলাটি জগদীশের পরেই রাজা-বাদশা, ঘরের বেী পরের মেয়েছলেকে খুশিমত ভোগ করবে, টাকা নাড়াচাড়া করবে: যেন পয়সা হাতের ময়লা মাত্র, নতুন ফসল ওঠার আগেও ধান ভরা থাকবে পাচটা খামারের দুটোতে আর হেথা-হোথা ছড়ানো মরাইয়ে-নিজের একটি পরিবারকে সে যে এখন ছোবে সে সামর্থ্য কই, ছোয়াছুয়ি সইবার শক্তি কই সে বেচারার, গর্ভবতী বৌগুলির কথা তো আলাদাই, তারা বঁাচে কিনা নিত্য এ ভয় ভরা মাস হবার আগেই। টাকা আর ধান শুধু তাদের ঋণের খাত। ফসল ফলানো নিছক ধারণী জগদীশের জন্যই-ওরা খাবলে নেবে বলে। জমি যার আছে দুবিঘে তার, এক মুঠো মাটিতেও যার স্বত্ব নেই তারও । ঠিক কথাই তো বলেছে রাজেন । খাব না ? ফের এসে শুধিয়ে যায় পিসীর বিধবা মেয়ে হারানি । পিসী নিজে না এসে এবার মেয়েকে পাঠিয়েছে। দুত্তোর নিকুচি করেছে তোর খাওয়ার, রেগে তেড়ে-মেড়ে ওঠে মোহন, দিবি তো দুধ-পোয় মাপে আলুনি ফ্যান-ভাত, ডাকের কামাই নেই, লুচি-পোলাউ ভোজ খেতে ডাকছে যেন হারামজাদি। ফোস করে কেঁদে ওঠে হারানি কলের দড়ি-টানা বঁশির মত, যুবতী মেয়ের মনটা যেন চড় খেয়ে কেঁদে-ওঠা শিশুই আছে এখনো, আর নাক দিয়েও তার সিকনি নামে সেই ছেলেবেলার মত, নাক টেনে টেনেও সামলাতে পারে না । মায়ণ ঠেকাবার উপায় খোজার খাতিরে জড়ো এই চাষীর আসরে যেন ছেড়া $ ዓ\9