পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খামারের ধানের কথা বলাবলি, উয়ার মন্তি দুকান ! কি দুকান, কিসের দুকান! কাজের কথা কও। সাতনালার খামারে লোকজন বেশী রায় না। " শুনে সবাই আবার ধাতস্থ হয়ে গুম থায়। কৈলাস গোড়া থেকেই একটু চুপচাপ আছে । এদের ধাত সে ভালরকম জানে। বিষয় যত গুরুতর, আলোচনা করতে বসে। এরা যেন তত বেশী ধীরস্থির হয়ে যায়-এলোমেলো সাধারণ কথা বলে। এদেরই একজন আবার তোরাবের মত অসহিষ্ণু , হয়ে আসল কথা তোলে-সকলে ধাতস্থ হয় । তোরাবের বদলে সে যদি কাজের কথা টেনে আনত, সকলে বোধ করত অস্বস্তি। কারণ, সে এদের সকলকে ডেকে এখানে জমা করেছে বুদ্ধি পরামর্শ দেবার জন্য। সে বেশী গরজ দেখালে এরা ভড়কে যাবে। ধরণীর একটা খামার আছে সাতনলায় । ধানবোঝাই খামার । তা সে খামার তো আগেও ছিল, এখনো আছে, কি তাতে ? সবাই জানে আজ এই মরিয়া বেপরোয়া মানুষগুলির আসরে ধরণীর ওই ধান-বোঝাই খামারের কথা ওঠারমানে কি, খামারে লোকজন বেশী থাকে না। এ কথা বলারও মানে কি । তবে কি না, জানা কথা শোনা কথাও সবার মিলেমিশে এক সাথে এক ভাবে জানা শোনা তো দরকার! তা বটে, রাজেন বলে, উয়ার মরাই-ভরা ধান, মোদের দুর্দশ । ধানে উয়ার স্বত্ব কি ? লুঠের ধান না ? আসলে মোদেরি ধান তো, না কি বল ? গায়ের জোরে কেড়ে নেছে বই তো না ? এ তে একই কথা, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলা। এত দূর এগিয়েও পরের কথাটা জিবের ডগায় এসে আটকে আছে অনেকের । ধীর, অতি ধীর জীবন এদেরঅকালে বুড়িয়ে ঝরে যায়, তবু ধীর। ঘুম ভাঙ্গে, হাই তোলে, আড়মোড়া ভাঙ্গে, সন্দেহ করে যে সত্যি রাত শেষ না চাদের আলোর আভা বাইরে-না, ভোরই হচ্ছে, কাকের ডাক শোনা যায়। মাঠে গিয়ে লাঙলের ফলা মাটিতে ডাবায়, ফসলের আশা তার কাল নয়, পরশু নয়, মাসকাবারে নয়, সেই ফসল ফলাবার S ዓ¢