পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኣ " উপায় আছে ? এবার কৈলাস বলে, লুঠের ধােন কি বলছ ? লুঠ করা তো বে-আইনী কাজ। রাজার আইনে ঘাড় ভেঙ্গে কেড়ে নেয়া ধান বল । তখন পিনাক বলে, ধান যদি মোদের, কেড়ে নিতে, লুঠে নিতে পারি না। মোরা ? না, ওটা ধরণীদের একচেটি ? বলি কি-রাজেন বলে—কথাটা বিবেচনা করি এসোমোরা। লুঠে আনতে চাও যদি তো চল যাই আজ রাতেই হানা দি সাতনলার খামারে। তবে কি না। হাঙ্গামা হবে তা বলে রাখি, বিষম হাঙ্গামা হবে। তখন দুষেণ-না মোকে। সে-ই যেন এতক্ষণ ধরণীর সাতনলার ধানের খামার লুঠ করার প্ররোচনা দিচ্ছিল। সকলকে, পরামর্শটা গ্রাহ্য হওয়ায় সাফাই গেয়ে রাখছে যে হাঙ্গামা হলে তাকে দোষী করা চলবে না, আগে থেকে সে দিয়ে রাখছে। হুশিয়ারি । সে নিজে লুঠ করতে যাবে না, হাঙ্গামায় মাথা গলাবে না, তার শুধু পরামর্শ দেওয়ার অধিকার । জীবনের সঙ্গে ঘরে কাটা চরকার সুতোয় মদন তাতিকে দিয়ে বোনানো খন্দরের কাপড় আর কামিজ গায়ে সতের দিন হাজত খেটেছিল। রাজেন । বিয়াল্লিশে ঘোষণা করেছিল, গান্ধিজী স্বপ্নে দর্শন দিয়ে তাকে আদেশ দিয়েছেন যে স্বরাজ এসে গিয়েছে, এবার থানা পোড়াও, পুলিস মার। তোরাব খুশি হয়ে বলে, হাঙ্গামার কমতি কোথা ? হাঙ্গামা ছাড়া কদিন । কাটে ? ঘর তো করি হাঙ্গামা নিয়ে। রামপুরে মোর চাচা থাকে, এ গোস্তাকির মাপ নেই, পরশু রোজ তাই হানা দেয়নি মোর ঘরে ? হাঙ্গামার কথা বোলো না দাদা, ওটা খোদার নজরান । তোরাবের বৌ একটা মরা ছেলে প্রসব করেছে। পরশু। নিজে বঁাচবে কিনা छाना 6न्मएँ । তিনু বলে, কি আর হবে হাঙ্গামায় ? নয় প্রাণটা যাবে। মরার বড়ো, হাঙ্গামা তো নেই ? কচু করবে। মোদের, যা করার করেছে। $ ግቆe পর। তাই সে আশায় ধৈর্য ছাড়া তার কি চলে, ধীর না হয়।