পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুখ পাবে না। ঘরের লোককে তো ছাড়া নয় "শুধু সারা জেলার লোককে আপন করেছি। জীবনবাবুই বল আর নন্দ ডাক্তারই বল, তোমায় কথার দাম বেশী লোকের কাছে। বিষ্ট বাবু বলতেন কি জানো ? একটু পড়াশোনা করলে আর বক্তৃতা দিতে শিখলে আমরা কি পাত্তা পেতাম কৈলাসের কাছে ? হেসে । হেসেই বলতেন। কিন্তু কথাটা সত্যি। এ তল্লাটে আর একটা মানুষ নেই তোমায় ডিঙিয়ে যায়। যে যত বড় বড় কথা বলুক, তুমি কি বলছ শুনে তবে লোকে মতি স্থির করে। আমারি বুকটা অহংকারে ফুলে ওঠে। এত লোকে তোমায় চায়, পালিয়ে গিয়ে আমায় নিয়ে সুখী হতে পারবে ভেবেছ ? ব্রহ্মাস্ত্র ছাড়লে তো ? সব হিসেব করেছি। গো, মনটা এমনি ঠিক করিনি । পালাতে যাব কেন আমি ? আমি হিন্দু বলে তো দশজনে আমায় চায় না ? পাপ তো করব না কিছু ? মানুষটা আমি যেমন আছি তেমনি থাকব। আমার খুশি আমি ধর্ম পাল্টােব, যাকে খুশি ঘরে আনব। তাতে বিগড়ে গিয়ে লোকে যদি আমাকে না চায়, আমার কি দোষ ? দশজনের খাতির পেতে হলেদশজনের মন জুগিয়ে চলি না। আমি। কৈলাসের এ ভাব লক্ষ্মী কখনো দ্যাখেনি। সে বুঝতে পারে গভীর একটা আলোড়নের ভিতর দিয়ে বিশেষ একটা অবস্থায় পৌছেছে তার মন, নতুন রকম একটা বিদ্রোহ মাথা তুলেছে তার মধ্যে। এতদিনের গড়া জীবন নষ্ট করে দিয়ে নতুন করে অন্যভাবে গড়বার পণ জেগেছে, আর দ্বিধা নেই তার। লক্ষ্মী ভয় পেয়ে বলে, দশজনকে যদি কেয়ার নাই কর, এত ভজঘটে কাজ কি তবে ? সোজাসুজি ঘর বেঁধে একসাথে থাকি এস ? কৈলাস একটা বিড়ি ধরায়। দেশলাইয়ের আলোতে লক্ষ্মী যে কিরকম ব্যাকুলভাবে তার মুখের ভাব দেখছে সেটা তার চোখে পড়ে। ধীরে ধীরে কৈলাস বলে, তাই কি হয় ? মন যুগিয়ে চলি না মানে দশজনের ভয়ে উচিত কাজ করতে ডরাই না। তাই বলে কি ডোণ্ট কেয়ার করব বলছি সমাজকে ? অ্যাদিনে তাহলে কোন ওজর শুনতাম না তোমার। Srv)