পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলোমেলো যেটুকু আন্দোলন এদিক ওদিক হচ্ছিল, জীবন তাতে যোগ দিত, সভায় যেত। আজকাল নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। ডেকেও তাকে পাওয়া যায় না। কৈলাস একটু ভড়কে যায়। জীবনের অশান্তির কারণ সে জেনে রেখেছিল অভাব এবং সারা জীবন যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে এসেছে সেটা পাওয়া গেছে জানার পর ভুল ভাঙার প্রতিক্রিয়া। শুভ নিদারুণ অনটন থেকে মোটামুটি রেহাই দিতেই সব অশান্তি কেটে গেল!! আজি শুধু তার দরকার আধ্যাত্মিক अलि ! মত ও বিশ্বাস যাই হোক, কিছুটা ভেজালও থাক, মোটামুটি মানুষটার দেশপ্রেমের আন্তরিকতায় কৈলাশের সন্দেহ ছিল না। ধর্মকর্ম ও পরকালের চিন্তা করা প্রয়োজন মনে হয়েছে, তার মানে বোঝা যায়। তাতে করে আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু দেশের এই ভয়ানক দুদিন তার মধ্যে যে ক্ষোভ জাগিয়ে রাখবে সেটা মিটে গেল কি করে ? দেশের জন্য তার দরদ কি সবটাই ছিল ফাকি ? কিন্তু তার দীর্ঘকালের দেশসেবার আন্তরিকতায় আজও তো অবিশ্বাস করতে মন চায় না ! কৈলাস তাকে প্রশ্ন করে, সব ছেড়ে দিলেন যে ? শনিবার অতবড় সভা হল, যাবেন বলে গেলেন না ? জীবন অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছে বোঝা যায়। বয়সের দোহাই দিয়ে সে বলবার চেষ্টা করে, বুড়ো হয়ে পড়লাম কৈলাস বলে, এটা কাজের কথা নয় জীবনবাবু। আপনাকে আমি ভালো করে জানি। বয়স হয়েছে বলে আপনি কি দেশকে ছাড়তে পারেন ? খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে জীবন বলে, কি জান বাবা, আসলে একটা মুশকিলে পড়েছি। শুভও আছে তোমাদের সঙ্গে, আমায় চাকরি দিয়েছে। সভায় গেলে কংগ্রেসের নিন্দ না করে উপায় নেই। তাতে আপত্তি ছিল না, চাকরিটার জন্য হয়েছে বিপদ। সারা জীবন কংগ্রেসের গুণ গেয়েছি, আজ শুভর। -কাছে চাকরি নিয়ে উলটো সুর গাইলে লোকে কি বলবে বল ? SG CB